গাজীপুরস্থ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের তিন চিকিৎসক ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের আরো এক কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হতে ওই হাসপাতালের ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন মোঃ খায়রুজ্জামান মঙ্গলবার জানান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের তিন চিকিৎসকের করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় রবিবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষার পর সোমবার বিকেলে তাদের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। তাদেরকে আসোলেশনে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই তিন চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হতে এ হাসপাতালের আরো ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নমূনা সংগ্রহ করে সোমবার ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, গাজীপুরের তেঁতুইবাড়িস্থ এ হাসপাতালের রেডিওলোজী বিভাগের কনসালটেন্ট, প্লাস্টিক সার্জারী এবং নেফ্রোলোজী বিভাগের মোট তিনজন চিকিৎসকের দেহে সোমবার করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। তারা আইসোলেশনে রয়েছেন।

এছাড়াও গাজীপুরের সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মচারীর (প্রোগ্রাম অরগানাইজার) দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। রবিবার কাপাসিয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে অফিসে এলে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। তার করোনা ভাইরাসের তেমন লক্ষণ দেখা যায়নি। স্যাম্পল পরীক্ষা শেষে সোমবার বিকেলে তার করোনা ভাইরাসের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তাকে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এনিয়ে সিভিল সার্জন অফিসের দু’কর্মচারীর দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। তদের দু’জনের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। প্রথম করোনায় আক্রান্ত কর্মচারীর (নৈশ প্রহরী) সংস্পর্শে আসায় সিভিল সার্জন এবং তার অফিসের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী রবিবার থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহীন।