একটি অসমাপ্ত গল্পের মৃত্যু 

ভেবেছিলাম গল্পটা লিখেই ফেলব,
কোত্থেকে শুরু করব ভাবতে ভাবতে
গল্পটা লেখার আগেই শেষ হয়ে গেল।
থাক,অসমাপ্ত গল্পটা আমার ভেতরেই থাক।
ফিরে গেলাম আগের অধ্যায় এ।
যেখানে আমি উদ্দাম,
অপ্রতিরোধ্য এক ঝর্ণা ধারা,
যাকে আটকানোর ক্ষমতা কারোই ছিলোনা।
হঠাৎ এক শুদ্ধ নির্মল হাওয়া
আমার পথ আগলে দাড়ালো,
বলল,”এই যে দূরন্ত বালিকা,আমাকে চিনতে পেরেছো?
আমি তোমার বিশ বছর আগের হারিয়ে যাওয়া
সেই আলো,
যে তোমাকে সঠিক পথে হাটতে শেখাতো।
আজ আমি আবার ফিরে এসেছি,
তোমার হাত টি ধরে,
তোমার এই উদ্দামতা কমিয়ে,
এক শান্ত ঝর্ণা হতে শেখাবো।”
আমি কেমন মন্ত্রমুগ্ধের মত সেই নির্মল বাতাস কে
আমার অস্থির জগতে প্রবেশ করার অনুমতি দিলাম।
আমি এতটা শান্ত আর স্নিগ্ধ হলাম,
মনে হলো ফিরে গেছি সেই বিশ টি বছর আগে।
আহ!!!!! কি শান্তি,কি তার যাদু,
আমি বয়ে চলেছি শান্ত হয়ে,
আমার শুদ্ধ নির্মল বাতাসের সাথে।
কিন্তু একি!!!!!
বাতাস টা কেমন যেনো থেমে গেলো,
আমার কানে কানে বলল,
“এইযে পাহাড়ি ঝর্ণা,আমি আর আগের মত তোমাকে আলো দিতে পারছিনা,
তোমায় নিয়ে ভেসে বেড়াতে পারছিনা,
কিন্তু বিশ্বাস করো,আমার ইচ্ছে ছিলো,
আমায় তুমি ভুল বুঝোনা।”
আমি থেমে গেলাম,
আমার বুকে এখন টাটকা ক্ষত,
যেথায় বয়ে যাচ্ছে রক্তের স্রোতধারা।
কেনই বা এলে তুমি?
কেন নতুন করে করলে আমায় ক্ষত বিক্ষত?
এত কিছুর পরেও আমি এই বাতাস টাকেই ভালোবাসি।
বেচে থাকবো তোমার দেয়া ক্ষত নিয়ে।
আগের মতই হয়ে যাবো অশান্ত,
আমার অস্থির চাহনি আরো অস্থির হবে,
তুমি ফিরে এলে হয়তো
আমার চোখের ভেতরে তাকাবে,
দেখতে পাবে,ওই অস্থির চাহনির এক কোনায়
তোমার সেই শান্ত ঝর্ণা কে।
ফিরে গেলাম পুরোনো অধ্যায়ে,
যেখানে আমার একাকিত্ব ই আমার আলোর দিশারী।
বিশ বছর আগের অসমাপ্ত গল্পটা অসমাপ্তই থাক।
গুমরে মরুক আমার ভেতর।

? তানিয়া তাজ?