দেশজুড়ে যথন “ঘরে থাকুন-সুস্থ্য থাকুন, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেননা” – এ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কলাপাড়ায় তখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনা, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কোনোটাই সুফল পাচ্ছেনা। সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধের ঘোষনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঝূঁকির মধ্যে রয়েছে কলাপাড়ার প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। করোনাভাইরাস সংক্রমন বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনাও মানছেনা কেউই। পেটের ক্ষুধায় সাধারন মানুষ লকডাউন ভেঙ্গে অনেকেই শ্রম দিয়ে উপার্জনের আশায় ঘরের বাইরে আসছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় ও লকডাউনে ঘরে থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে একটি বড় অংশের মানুষ। যাদের অধিকাংশেরই ঘরে কোন খাবার নেই। দিনমজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক, ফেরী ওয়ালা ও চায়ের দোকানদার পরিচালিত পরিবারগুলো বিশাল খাদ্যসংকটে পড়েছে। তাই অনেকেই গোপনে গোপনে কাজের সন্ধানে বেরুচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ার দুই পৌরসভাসহ অন্তত: অর্ধশত গ্রামীণ বাজারে চায়ের দোকান গুলোতে রাত অবধি চলে আড্ডাবাজদের বিচরণ। এ বাজারগুলো নারায়নগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ফেরা এক শ্রেণির মানুষের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। এছাড়া পৌরশহরের বাদুরতলী, ফেরী ঘাট চৌরাস্তা, নাচনাপাড়া চৌরাস্তা, মাছ বাজার, কুয়াকাটা পৌরসভার চৌরাস্তা, এলজিইডি’র পুকুরপাড় এ সামাজিক দূরত্ব রক্ষা না হওয়ায় ক্রমশ:ঝূঁকিপূর্ন হয়ে উঠছে এসব এলাকা গুলো। একই অবস্থা চলছে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে। মুলত আসরের নামাজের পর থেকে রাত অবধি চলে আড্ডা। এ সংক্রমন এড়াতে ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধে গঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রম সক্রিয় না করলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে সচেতনমহল ও এলাকাবাসীর গনদাবী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো: শহিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাপ্তাহিক হাট-বাজার গুলোকে বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি সহ স্ব-স্ব বাজার কমিটি গুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শহরের কাঁচা বাজার খোলামাঠে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাথে নিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখলী)প্রতিনিধি