আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেশের তিনটি রুটে বাংলাদেশ রেলওয়ের লাগেজভ্যান ট্রেন চলাচল শুরু করবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই তিনটি রুট হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা ও য‌শোর-ঢাকা-য‌শোর। এই ট্রেনগুলোতে কেবল কৃষিপণ্য ঢাকায় আনা হবে। আজ বৃহস্পতিবার রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই তিনটি রুটের মধ্যে যশোর-ঢাকা রুটে সপ্তাহে তিন দিন, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ ও ঢাকা-চট্টগাম রুটে দৈনিক লাগেজভ্যান ট্রেন চলাচল করবে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান জানান, এক একটি পার্সেল ট্রেনে ১০-১২টি ভ্যান থাকে। যাতে ২৩০-২৪০ টন পণ্য ধারণ করা যায়। যদি এই পরিমাণ পণ্যের চাহিদা অন্য কোনো রুটে পাওয়া যায় তবে সেই রুটেও এই পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হবে। শামসুজ্জামান জানান, এসব লাগেজ ট্রেন যাত্রাপথে থেমে বিভিন্ন স্টেশন থেকে কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি, চাল, ফলমূল নিয়ে ঢাকায় আসবে। যাতে এই সময়টিতে অন্তত খাবার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়। এই ট্রেনে পোল্ট্রি, ডিমসহ ঢাকায় আসবে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, করোনার পরিস্থিতিতে গত ২৬ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে মাসের নির্দিষ্ট কয়েকদিন দুই বগি বিশিষ্ট ‘বেতন ট্রেন’ নামক ট্রেনও চলাচল করছে। এমন অবস্থায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য ‘পার্সেল এক্সপ্রেস’ নামে বিশেষ লাগেজভ্যান ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এক মাসেরও অধিক সময় যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় রেলের লোকসান হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। লকডাউনের এই সময় যেহেতু যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় লসের পাল্লা ভারি হচ্ছে রেলের, তাই কর্মকর্তারা আশাবাদী এই পার্সেল ট্রেনের মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে।