রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ৫০০ বেড করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ হাসপাতালটি অস্থায়ীভাবে বিশেষায়িত কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসাবে যাত্রা শুরু করলো। রোববার (১০ মে) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রেড ক্রিসেন্ট হলি ফ্যামিলি হাসপাতালকে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা ভাইরাস ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেন। মন্ত্রী বলেন, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটিতে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেয়ার সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। করোনার এই দুর্যোগে এ রকম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। এই হাসপাতালের মোট ৭০০ বেড থেকে ৫০০ বেড শুধুমাত্র কোভিড-১৯ রোগীদের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে আইসিইউ রয়েছে ১০টি, ভেন্টিলেটর ৭ টি, ডায়ালাইসিস মেশিন ৭ টি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। এখানে আলাদা কেবিন রয়েছে ৭৫টিরও বেশি। কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য যদি আরো কিছু প্রয়োজন হয় সরকার এখানে তা প্রদান করবে।

করোনার পরীক্ষার টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক জানান, দেশে শুরুতে মাত্র ১ টি টেস্টিং ল্যাব ছিল। বিদেশের সাথে যখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তারপরও সরকার এখন ৩৫ টি টেস্টিং ল্যাব চালু করেছে।প্রতিদিন ৫ হাজারের উপরে টেস্ট করা হচ্ছে।খুব দ্রুতই আরো ১৬ টি টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হলে টেস্টিং সংখ্যা দিনে ৮-১০ হাজারে পৌঁছানো সম্ভব হবে।এই হাসপালেও খুব দ্রুত অন্তত একটি টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হবে।

হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে চালু করতে গত ৭ মে, সরকারের সাথে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সে প্রেক্ষিতেই আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটিকে কভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করলেন। প্রথম অবস্থায় এই চুক্তিকালীন সময় থাকবে অক্টোবর, ২০২০ পর্যন্ত।তবে করোনার প্রকোপ না কমলে চুক্তির মেয়াদ আরো বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি।