লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে রিপন (২২) নামে এক প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অবস্থান করছে। ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন সমাধান হয়নি। তবে রিপনের বাবা মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তাড়াতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা তদবির করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিয়েই একমাত্র সমাধান বলে এলাকাবাসীর দাবি।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ মে) রাত সড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গেন্দুকুড়ী এলাকার রমজান আলীর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। প্রেমিক রিপন রমজান আলী ছেলে। প্রেমিকা একই এলাকার মেহেদুল ইসলামের মেয়ে।

বিয়ের দাবিতে অবস্থানরত মেয়েটি জানান, রিপনের সাথে তার প্রায় আড়াই বছরের গভীর প্রেমের সম্পর্ক। দুই বছর আগে পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে অন্য যায়গায় বিয়ে দেয়। মেয়েটির বিয়ের পর রিপন পাগল প্রায় হয়ে যায়। সে সবসময়ই মেয়েটিকে ফোন দিয়ে তার বরকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করতে বলে অন্যথায় সে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিতে থাকে। ফলে রিপনে প্রতি তার গভীর ভালবাসার টানে মেয়েটি তার বরকে তালাক দেয়। মেয়েটি বাবা মা কাজের সন্ধ্যানে এলাকার বাহিরে থাকার সুযোগে তাদের মাঝে চলে অবাধে মেলামেশা ও লুকিয়ে দৈহিক সম্পর্ক। কিছুদিন আগে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পারলে মেয়েটিকে অনেক গালমন্দ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে। মেয়েটি বিয়ের জন্য রিপনকে বললে সে আজকাল করে টালবাহানা করতে থাকে। একদিকে পরিবারের অপমান আর একদিকে প্রেমিকের টালবাহানা সইতে না পেরে মেয়েটি ১২ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিপনকে বিয়ে করার দাবিতে তার বাড়িতে গিয়ে উঠে। মেয়েটি বাড়িতে আসায় রিপন পরিবারের চাপে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায় এবং পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে বেধড়ক মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায় বলে মেয়েটি জানান।

এই ঘটনার সমান কি এবিষয়ে জানতে চাইলে রিপন মেয়েটিকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। এসময় এলাকাবাসী জানান বিয়ে ছাড়া অন্য কোন সিদ্ধান্ত তারা মেনে নিবেননা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী অনেকেই জানান, রিপন ছেলেটি ভালো না। সে এর আগেও মিথ্যা ভালবাসার অভিনয় করে অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। এভাবে তারা রিপনকে আর কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করতে দিবেননা। এই অসহায় মেয়েটিকে বিয়ে না করলে তারা সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে রিপনের বিরুদ্ধে মামলা করবে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য রিপনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

রিপনের বাবা রমজান আলী বলেন, আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা। মেয়েটি হঠাৎ করে আজ তার ছেলেকে বিয়ে করার জন্য বাড়িতে এসে উঠে। তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা আগে থেকেই বিষয়টি জানতেন। এবিষয়ে টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান (আতি) বলেন, বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। তবে এবিষয়ে কথা বলতে কেউ আমার কাছে আসেনি। হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) উমর ফারুকের সাথে এবিষয়ে জানার জন্য তার মোবাইলে কল দিলে ফোন রিসিভ হয়নি।