নভেল করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকের নির্দেশনায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে বাস্তবায়নাধীন পাট বিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্প (জুট জিনোম প্রকল্প) এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে বাংলাদেশে সংক্রমিত নভেল করোনার সাতটি নমুনা ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিংসম্পন্ন করেছে। জিনোমের তথ্যসমূহ GISAID database এ জমা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়েছে।

উন্মোচিত জিনোম তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিকোয়েন্সসমূহের সঙ্গে সৌদি আরব, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকোয়েন্সের মিল রয়েছে। উন্মোচিত জিনোম সিকোয়েন্সের একটি জিনোমের ক্ষেত্রে সাতটি স্থানে, দুটিতে পাঁচটি স্থানে এবং চারটিতে চারটি স্থানে মিউটেশন বা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।

এ ছাড়া বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ৫১১ এবং ৫১৭ নম্বর নমুনার সিকোয়েন্সে একই স্থানে ৩৪৫ বেইসপেয়ারের ডিলিশন পরিলক্ষিত হয়, যা সিঙ্গাপুরের কিছু জিনোমের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ ওই দুটি জিনোমে এনএস-৮ জিনটির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে উন্মোচিত জিনোম সিকোয়েন্সের অধিকতর বিশ্লেষণের কাজ চলমান রয়েছে। উন্মোচিত সিকোয়েন্স তথ্য ডায়াগনস্টিক টেস্টগুলোর ডিজাইন এবং মূল্যায়ন করা ও চলমান প্রাদুর্ভাবটির দমনে সম্ভাব্য বিকল্প পন্থা শনাক্তকরণে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।