দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রচন্ড উপচেপড়া ভিড় আর গাদাগাদির মধ্য দিয়ে চলছে ১০ টাকা কেজি দরের ওএমএস এর চাল কেনাবেচা। জায়গার অভাবে ডিলারের দোকানে চাল কিনতে আসা ক্রেতাদের নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। প্রয়োজনের তাগিদে গাদাগাদি করেই কিনতে হচ্ছে চাল।
সরেজমিনে গতকার বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১ টায় গিয়ে দেখা যায়, ফুলবাড়ী পৌর শহরের উর্বশী সিনেমা হলের সমানের ওএমএস ডিলার আব্দুল মজিদ সরকারের চাল বিক্রয় কেন্দ্র। চাল বিক্রয় কেন্দ্র ঘেঁষে চলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজের জন্য এক পাশে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডিলারের দোকান ঘেঁষেই চলাচল করছে ছোটবড় সব যানবাহন। এরই মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কার্ডধারী নারী ও পুরুষ। জায়গার অভাবে কেউ কেউ চলে যাচ্ছেন সড়কের ওপর। গাড়িঘোড়া এলেই ঠেলাঠেলি করে সরে আসতে হচ্ছে সামনে। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বর্তমানে কোন প্রকার করোনাভাইরাসের প্রভাব নেই, সবকিছুই যেন স্বাভাবিকের ওপর স্বাভাবিক হয়ে গেছে। যে যার খেয়ালখুশি মতো ঘেঁষাঘেঁষি গাদাগাদি আর মাস্ক ছাড়াই লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাল নিতে। এতে চরমভাবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চাল নিতে আসা ক্রেতা জানান, আমরা গরীব মানুষ, এগুলো নিয়ে কথা বললে চালই দেওয়া বন্ধ করে দিবে এমন ভয়ের কারণে কিছু বলা যায় না। আল্লাহর ওপর ভরসা করেই ঠেলাঠেলির মধ্যেই চাল কিনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ওএমএস ডিলার আব্দুল মজিদ সরকারের প্রতিনিধি সোহাগ চৌধুরী বলেন, জায়গা না থাকার কারণে একটু ভিড় আর ঠাসাঠাসির মধ্যেই ঝুঁকি হলেও চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সম্ভবত সরকার আগামী মাস থেকে চাল বিক্রি বন্ধ করে দিলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. গোলাম মওলা বলেন, ওএমএস এর চাল বিক্রিতে ভিড় কমাতে অন্য ডিলারদের বিভিন্ন স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু আব্দুল মজিদ সরকার ডিলারের আশপাশে কোন স্কুল না থাকায় তার দোকানের সামনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই করোনা ঝুঁকিতে পড়ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, দ্রুত ওই ডিলারকে একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে চাল বেচাকেনার ব্যবস্থা করা হবে।

আফরোজ জাহান সেতু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি