গাজীপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুইজন পোশাক কর্মী বৃহষ্পতিবার নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলো- টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানার বামনহাটা এলাকার গাজীয়ার রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৬) ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার কালাগোনা এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ হারুনুর রশিদ (৫০)। তারা দু’জনই গাজীপুরে বসবাস করতেন। এছাড়াও বুধবার রাতে অপর দূর্ঘটনায় বায়িং হাউজের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।

জিএমপি’র বাসন থানার এসআই মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরের গাছা এলাকার মেট্রিক সুয়েটার কারখানায় চাকুরি করতেন আনোয়ার হোসেন। বৃহষ্পতিবার সকালে আউটপাড়া এলাকার বাসা থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে কারখানায় যাচ্ছিলেন তিনি। পথে সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের সামনে পৌছলে একটি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মহাসড়কের উপর ছিটকে পড়ে একই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে জিএমপি’র কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খুদা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুরের শ্রীরামপুর এলাকার বাসায় থেকে স্থানীয় রেডিয়ান পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন। নাইট ডিউটি শেষে বৃহষ্পতিবার সকাল ৬টার দিকে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথে জিরানী মোড় এলাকার আইরিশ কারখানার সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি পিকআপভ্যান তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত দু’জনের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে ঘাতক গাড়িকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়াও গাজীপুর বুধবার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক মোটর সাইকেল চালক নিহত হয়েছে। নিহতের নাম মোস্তফা মমিন (৩০)। তিনি চট্টগ্রামের হালিশহর থানার মৃত ফজলুল হকের ছেলে। মোস্তফা মমিন একটি বায়িং হাউজে চাকুরি করতেন।

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, শ্রীপুরের কারখানা থেকে স্যাম্পল নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন মোস্তফা মমিন। বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সদরের ভবানীপুর এলাকায় পৌছলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এসময় মহাসড়কের উপর ছিটকে পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।