কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সমাজসেবক মো. মুনসুর আলীকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ রোববার ভোরে স্থানীয় মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমির সীমানা ও এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুনসুর আলীর লোকজনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কুড়ারকান্দি কাওয়ালিবাড়ির নজরুল ইসলামের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে গত বছর মারামারির ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ বছরও হেমন্তগঞ্জ গ্রামের এক স্কুলছাত্রকে মারপিট করে প্রতিপক্ষ কুড়ারকান্দি কাওয়ালিবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

চলমান পরিস্থিতির ভেতরে আজ ভোরে হেমন্তগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যান মো. মুনসুর আলী। নামাজ শেষে মাঠে যাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতেই সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। রক্তাক্ত মুনসুর আলী রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম সার্কেলের এএসপি এসএম আজিজুল হক, মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জাকির রব্বানী, পরিদর্শক (তদন্ত) তাইজ উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির রব্বানী জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।