মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা প্রধানমন্ত্রীকে সম্পৃক্ত করে কোন কথা বলতে পারেনি। অথচ সবাই প্রধানমন্ত্রী লোক বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তারা সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারে নি। এটা হচ্ছে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মত। তারা কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না, বিভিন্নস্থান থেকে কাটপিচ সংগ্রহ করে একটা কিছু বানিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীকে এর জন্য দায়ী করেছে। এটা কোন যুক্তিতেই ঠিক না। কারা এ ব্যাপারে জড়িত তা খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনগণের উপর আমাদের বিশ^াস আছে। আমরা মনে করি জনগণ এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।

প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে আল জাজিরায় সংবাদ প্রকাশ প্রসঙ্গে বৃহষ্পতিবার গাজীপুরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারী ও সহযোগীদের ন্যূনতম বিচার হবে না, তা হতে পারে না। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনি তাদের রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা বাতিল করা হবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বার্মার আং সান সুচি’কে আন্তজার্তিক শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছিল, সেটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশি^বিদ্যালয় ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছিল, সব প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। কারণ তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিমাতা সূলভ আচরণ করেছিলেন। এরকম তিনি (জিয়া) যেদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সেদিন তিনি মুক্তিযোদ্ধা অবশ্যই। সেদিন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, সেজন্য খেতাব পেয়েছে এটাও সঠিক। কিন্তু যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার দালিলিক প্রমাণ আমাদের কাছে আছে, সেইজন্য আমরা তাকে বঙ্গবন্ধুর খুনি হিসেবে চিহ্নিত করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সে খুন করেছে। তার যদি এটুকু শান্তি না হয়, তার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা যেটা রাষ্ট্র তাকে দিয়েছে, সেটা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি থেকে বলা হয়েছে আদালত তাকে বলে নি। আমি উনাদের উদ্দ্যেশে বলতে চাই- আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সকল দেশের প্রচলিত আইনে মৃত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা চলে না। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত কোন রায় দেয় না। এটা শুধু এ ক্ষেত্রে নয়, সর্বক্ষেত্রে। আদালত সে কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যায় উনার সম্পৃক্ততা কতটুকু সে ব্যাপারে হয়ত কোন মন্তব্য করেন নি। তার অর্থ এই নয় তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না, বা আমরা বলছি- তাতে তিনি সম্পৃক্ত হয়েছেন তা নয়। জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় খুনিরা বিভিন্ন ইন্টারভিউতে তার সম্পর্কে কি বলেছে এবং তিনি কোথায় কি বলেছেন সেসব রেকর্ড ও দালিলিক তথ্য প্রমান আমাদের কাছে আছে। আমরা যথাসময়ে তা উপস্থাপন করব। এটা আক্রোশমূলক নয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে কর অঞ্চল-গাজীপুর-এর উদ্যোগে ‘সেরা করদাতাগণের সম্মাননা ও সনদ পত্র প্রদান’ অনুষ্ঠানে কর অঞ্চল-গাজীপুর-এর কর কমিশনার মো: খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদত সরকার, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরীর পরিচালক (ফিন্যান্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আশরাফুল হক, গাজীপুর ট্যাক্সেস বারের সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ অন্তু, অতিরিক্ত কর কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ প্রমুখ।