গাজীপুরে শ্রীপুরের এএমএস কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত আরো দুইজনের লাশ কারখানার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড প্ল্যান্টের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ শনিবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে ওই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিনজনে দাঁড়িয়েছে।

ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার আওয়ালপুর গ্রামের সিরাজ বেপারীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৫০) ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার তুলাতুলি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৯)। এদের মধ্যে কারখানার মেকানিক্যাল ফিডার পদে আশরাফুল ও অপারেটর পদে নাসির কর্মরত ছিলেন। এর আগে ঘটনারদিন (বৃহষ্পতিবার) শ্রীপুর থানার উজিলাব এলাকার তাইজ উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন নামের এক কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ বলেন, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী মুলাইদ এলাকাস্থিত এএসএম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার বিশাল আকৃতির হাইড্রোজেন পারক্সাইড তৈরীর প্ল্যান্টে বৃহষ্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কারখানার কর্মী আলমগীর নিহত ও অন্ততঃ ২০জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে কারখানার কর্মী আশরাফুল ও নাসির নিখোঁজ ছিলেন। তাদের লাশ শনিবার ভোর রাতে কারখানার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড প্ল্যান্টের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়। কারখানার পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দাফন কাফনের জন্য অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতদের পরিবারকে বিধি অনুযায়ী অন্যান্য পাওনাদি ও সহায়তা দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের তালিকা অনুযায়ী এখন আর কেউ নিখোঁজ নেই।

শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, কারখানার ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ করে নিহত আলমগীরের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।