গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় নিহত এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রিসহ দুইজনের ঝুলন্ত লাশ রবিবার বিকেলে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার রামপুর দশাল এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি জুয়েল (৩০) এবং গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন ঝাজড় এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (২৮)।

জিএমপি’র বাসন থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, গাজীপুর মহানগরের মধ্য চান্দনা এলাকার মনিরের বাসায় স্বপরিবারে ভাড়া থেকে এলাকায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন জুয়েল। তার স্ত্রী স্থানীয় এক পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে জুয়েল ও তার স্ত্রী কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। দুপুর বাসায় ফিরে আসেন জুয়েল। সোয়া একটার দিকে প্রতিবেশী জনৈক ব্যক্তি জুয়েলের খোঁজে বাসায় আসেন। তিনি ডাকাডাকি করে জুয়েলের সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দেন। এসময় তিনি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো জুয়েলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে জিএমপি’র গাছা থানার এসআই মোঃ সাফায়েত ওসমান জানান, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন পূর্ব কলমেশ্বর বটতলা রোড এলাকার আবু তালেবের বাড়িতে ভাড়া থাকেন আরমান হোসেন শরীফ। রবিবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে তিনি বড় ভাই আরিফ হোসেনকে বাসায় রেখে বাইরে যান। পৌণে তিনটার দিকে তিনি বাসায় ফিরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো আরিফ হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তিনি মানসিক রোগী ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এব্যাপারে উভয় ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।