রাজধানীর পল্লবীতে ৬ বছরের সন্তানের সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে সাহিনুদ্দিনকে খুন করার ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলার আরেক আসামি মনির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। মামলার অন্যতম আসামি মানিক নিহত হওয়ার দুই দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটলো।

আজ রোববার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পল্লবী ১২ নম্বর সেক্টরে সাগুপ্তা হাউজিংয়ের সামনে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মনিরের সঙ্গে ডিবির মিরপুর বিভাগের একটি জোনাল টিমের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে মনির গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন।

পল্লবী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বুলবুল বলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের একটি টিম এখন অবস্থান করছে। নিহতের সুরতহাল তৈরি করছে। বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আরও পরে জানানো হবে বলেও তিনি জানান। নিহত মনির পল্লবীর চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীনকে হত্যা মামলার আসামি। হত্যাকাণ্ডে সে সরাসরি জড়িত ছিল বলেও জানান বুলবুল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র‍্যাব-৪’র একটি দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আলোচিত এ মামলার আরেক আসামি মানিক।

গত রোববার বিকেল ৪টায় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবীর ডি-ব্লকের একটি বাড়ির সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ধরা পড়ে পাশের একটি ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়- দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন সাহিনুদ্দিনের ঘাড়ে কোপাতেই থাকেন। যে দুজন কোপাচ্ছিলেন তারাই হলেন মানিক-মনির।

নিহত সাহিনুদ্দীনের মা আকলিমা ১৭ মে পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর তিন আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মো. আউয়াল, মো. হাসান ও জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।