গাজীপুরের শ্রীপুরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলি ভর্তি বিদেশী পিস্তলসহ এক হাজার পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করেছে র‌্যাব সদস্যরা। নিহতের নাম- পারভেজ (৩১)। সে শ্রীপুর উপজেলার হয়দেবপুুর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন কালুর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২০টিরও বেশী মামলা রয়েছে। রবিবার র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১’র ওই কর্মকর্তা জানান, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের সাতচুঙ্গী এলাকায় মাদক ব্যবসায়িরা মাদক কেনা-বেঁচা করছে। এ খবর পেয়ে র‌্যাব-১’র এর একটি টহল টিম শনিবার দিবাগত রাত পৌণে ১২টার দিকে জৈনাবাজার-কাওরাইদ সড়কের ওই স্থানে অভিযানে যায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়িরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। প্রায় ১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে পারভেজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার সঙ্গীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এসময় ঘটানস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এক রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল, এক হাজার পিস ইয়াবা টেবলেট ও গুলির খোসাসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। নিহতের লাশ শ্রীপুর থানা পুুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ডাকাতি হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশী মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, পারভেজের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মাদক ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাতটি মামলা ও একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের শ^শুর আফাজ উদ্দিন ও স্বজনরা জানান, পারভেজ স্বপরিবারে একই উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের শ^শুরবাড়িতে থাকত। সে বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকত না। তারা লোকমুখে শুনেছেন ৩০ জুলাই রাতে তাকে গলদাপাড়া থেকে কে বা কারা ধরে নিয়ে গেছে। এরপর র‌্যাবের হাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের খবর পান।