ক্রীড়া প্রতিবেদক:

ঈদের পর অতিথি শ্রীলঙ্কান টেষ্ট দলের বিপক্ষে হোম সিরিজ। দক্ষিন আফ্রিকায় ব্যর্থ টেষ্ট সিরিজ শেষ করা টাইগার বাহিনী আপাতত বিশ্রামেই আছে। ঈদের পরই অনুশীলেনে নামার সম্ভাবনা। কিন্তু আলোচনায় আসেছে অতিথি লঙ্কার বিপক্ষে হোম গ্রাউন্ড চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে কতটা সফল বাংলাদেশ টেষ্ট দল!

ল্ঙ্কার বিপক্ষে ২২ টেষ্ট ম্যাচের মধ্যে চট্টগ্রামের ভেন্যতে মাত্র ৪টি টেষ্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে নেই কোন জয়ের পালক। ২২ টেষ্টে ১টি মাত্র জয় লঙ্কার মাটিত পাল্লেকেলেতে। আর ৪টি ড্র-র মধ্যে ২টি হয়েছে চট্টগ্রামের ভেন্যুতে ২০১৪ আর ২০১৮ সালে।

তারপরও এই ভেন্যুতে শত ভাগ সফল শ্রীলঙ্কান টপ অর্ডার। ব্যক্তিগত স্কোরের হিসাবেও লঙ্কানরা এই ভেন্যুতে বড় বড় ইনিংস খেলেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে বলার মতো একজনই আছেন, যিনি চট্টগ্রামের ভেন্যুতে ব্যক্তিগত ভাবে এবং পার্টনারশীপেও সফল। তিনি টেষ্ট অধিনায়ক মমিনুল হক।

টানা ব্যর্থতার মধ্যে থাকা মমিনুল হক কি এবারের হোম সিরিজের ১ম টেষ্টে চট্টগ্রামের মাঠে ইতিহাসের পাতায় নতুন কিছু লিখতে সক্ষম হবেন?

এই ভেন্যুতে লঙ্কান পার্টনারশীপের গল্প না করাটাই শ্রেয়। কারণ তাতে স্বাগতিকদের আলোচনা পেছনে পড়ে যাবে। লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস  জুটি ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ৭২ রান আজও অটুট আছে। লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি বার বার ব্যর্থ।

লঙ্কানদের বিপক্ষে চট্টগ্রাম ভেন্যুতে বলার মতো পার্টনারশীপের গল্প আছে মাত্র ৪টি। ২০১৮ সালেই তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিত-মমিনুলের গড়া ২৩৬ রানের পার্টনারশীপ আজও টাইগারদের জন্য চট্টগ্রামের সেরা ইনিংস।

এরপরই আছে ২০১৪ সালে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শামসুর রহমান-ইমরুল কায়েসের করা ২৩২ রানের পার্টনারশীপ। ২০১৮ সালেই ৪র্থ উইকেট জুটিতে মমিনুল-লিটনের জুটি গড়েন ১৮০ রানের পার্টনারশীপ। তবে ২০০৯ সালে মিডল অর্ডারে সাকিব-মুশফিকের ৯২ রানের পার্টনারশীপটাও উল্লেখ করার মতো।

চট্টগ্রামে ২০২২ সালের টেষ্ট সিরিজে প্রথমটিতে কমপক্ষে ড্রয়ের স্বপ্ন দেখতে হলে তামিম, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হাসান শান্ত, মুশফিক, মমিনুল এই ৫ ব্যাটসম্যানের মধ্যে বড় পার্টনারশীপ গড়তে হবে। প্রায় ৪ বছর পর এই ভেন্যুতে আবারো টেষ্ট যুদ্ধ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার। এখন শুধু দেখার পালা বাংলাদেশের কি ২০১৪ আর ২০১৮ সালের ড্র-র ‍বৃত্ত থেকে বের হতে পারে কি-না?