চট্টগ্রাম সাগরিকা থেকে জহির ভূইয়া

সময় ৩টা ৩০, স্থান জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম। ২০১৮ সালে টেষ্ট অভিষেক হওয়া স্পিনার নাইম হাসান ২২ গজি উইকেটে নাচতে শুরু করলেন, আকাশে হাত তুলে আনন্দ প্রকাশ করছেন। ক্যারিয়ারে ২য় বার ৫ উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু এর চেয়েও বড় ঘটনা অপেক্ষা করছিল নাইমের জন্য। নিজের ৬ষ্ঠ উইকেট পেলেন নাইম, যা তার ক্যারিয়ারে প্রথম বার। ১৯৯ রানে থাকা ম্যাথিউসকে ক্যাচ বানিয়ে ইতিহাস বনে গেলেন নাইম।

৬ষ্ঠ উইকেট প্রথম বারের ঘটনা মনে থাকবে নাইমের পুরো ক্রিকেট জীবনে। কারণ সেই উইকেটটি ছিল ম্যাথিউসের, যিনি ১৯৯ রানে টানা দুই দিন ব্যাট করে ডাবল সেঞ্চুরির দরজায় কড়া নাড়ছিলেন। ম্যাথিউসকে হতাশায় ডুবিয়ে নাইম ৬ষ্ঠ উইকেট পেলেন আর পুরো ফোকাসটা নিজে দিকে টেনে নিলেন।

সাগরিকা টেষ্টে অতিথি লঙ্কাদের স্কোর তখন ৩৯০/৯। আনন্দ তো নাইম করতেই পারেন। টেষ্টে নাইম লঙ্কাকে বধ করার চেষ্টা সফল হয়েছেন। ৮ম টেষ্ট খেলতে নামা নাইম তো এক বছর দলের বাইরেই ছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজের ইনজুরিতে কপাল খুলেছে চট্টগ্রামের লোকাল বয়ের।

চলতি টেষ্টে নাইম ক্যারিয়ারে ৮ম টেষ্ট খেলছেন। তাঁর টেষ্ট ক্যারিয়ারে সেরা বেলিং ফিগার ৬১ রানে ৫ উইকেট। সেটা ছিল প্রথম বার, এবার দ্বিতীয় বার টেষ্ট ক্যারিয়ারে ৫ উইকেটের পালকের মালিক হলেন। এবার বল করেছেন  ওভার আর রান দিয়েছেন ১০৫, উইকেট ৬টি। মোট ৩১ উইকেটের মালিক বনে গেলেন নাইম। বোলিং ফিগার ৩০-৪-১০৫-৬।