শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে ’৭১ এর পরাজিত শক্তি, ’৭৫ এর হত্যাকারী, ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলাকারী এবং ২০১৪ এর অগ্নি সন্ত্রাসীরা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠবার চেষ্টা করছে। তারা আরেকটি ’৭৫ ঘটানোর ঘৃণ্য হুমকি দিচ্ছে। যে হুমকি কোন রাজনীতির ভাষা হতে পারে না, এটি সন্ত্রাসী ও হত্যাকারীর ভাষা। আজকে উত্তাপ ছড়িয়ে শিক্ষাঙ্গনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করবার যে অপচেষ্টা সেটি সেই ঘৃণ্য অপচেষ্টার অংশ।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আগে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাচ্ছে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আগ মুহুর্তে জাতি যখন আনন্দে উদ্বেলিত, সে সময়টায় জাতির মন ম্লান করে সেই আনন্দ উচ্ছ্বাস থেকে ঘুরিয়ে আশংকার দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে তারা।

শিক্ষামন্ত্রী বুধবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নবীন বরণ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক উদ্ভাবিত ব্লেন্ডেড লার্নিং সল্যুশন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তরুণরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীন বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে। তরুণদেরকে ক্ষমতায়িত করে তাদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে আমাদেরকে। তরুণরা যেন বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেজন্য তথ্য প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের অবাধ সুযোগ করে দিতে হবে। তারা শুধু নিজেদের চাকুরীর জন্য নয়, উদ্যোক্তা হয়ে আরও মানুষের চাকুরীর ব্যবস্থা করবে। তেমন করেই তাদের তৈরি করার স্বপ্ন দেখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তিনি সেই পরিবেশটি তৈরিও করেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরো বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। যা আগামী বছর থেকেই চালু করা হবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা একটি চ্যালেঞ্জ। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আশরাফুজ্জামান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা আক্তার এর সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.আশরাফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীগণ অংশ নেন।

প্রতিষ্ঠানটির দুইটি প্রোগ্রামের আওতায় এবার ২০২০-২১ সেশনে ১০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এর আগে কুড়িগ্রামের একটি স্কুলের সঙ্গে ব্লেন্ডেড লার্নিং সল্যুশন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।