আইসিসি বুধবার প্রকাশ করেছে এই পাঁচ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডার।২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) চূড়ান্ত হয়েছে কদিন আগে। যেখানে বাংলাদেশ ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৫৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এই এফটিপিতে তারা শেষ ম্যাচ খেলবে ২০২৭ সালের মার্চে, অস্ট্রেলিয়ায় দুটি টেস্ট খেলে।

এর আগের বছর ২০২৬ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়াকে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সিরিজে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।  এই চক্রে বাংলাদেশ ভারতেও খেলবে দুটি টেস্ট। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওই ভারত সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে তারা। চলতি বছর ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডেতে।

পাকিস্তানের সঙ্গেও বাংলাদেশের রয়েছে হোম-অ্যাওয়ে সিরিজ। ২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তানে তারা দুটি টেস্ট খেলবে। পরের বছর মে মাসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ। টানা দুই বছর পাকিস্তান ভ্রমণ শেষে তাদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মার্চে, দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সিরিজ।

ইংল্যান্ড সফর নেই বাংলাদেশের এই সূচিতে। অবশ্য দুইবার ইংলিশরা আসবে বাংলাদেশে। ২০২৩ সালের মার্চে দুই দলের তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এরপর শেষ বছর অর্থাৎ ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট খেলতে স্বাগত জানাবে ইংল্যান্ডকে।

এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এফটিপির খেলা শেষ করে ফেলেছে বাংলাদেশ। পরের সিরিজ দেশের মাটিতে ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ডিসেম্বর ও মার্চে।

আগামী বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম-অ্যাওয়ে সিরিজ আছে বাংলাদেশের। মার্চে দেশে একটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। এরপর মে মাসে প্রতিপক্ষের মাঠে তিনটি ওয়ানডে ও চার টি-টোয়েন্টি। ২০২৫ সালের নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডকে তারা দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে স্বাগত জানাবে।

আগামী বছর জুনে আফগানিস্তানের সঙ্গে হোম সিরিজে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। একই দলের সঙ্গে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে তারা। যেখানে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থাকবে।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পরের সিরিজ দেশের মাটিতে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। ২০২৫ সালের জুনে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে শ্রীলঙ্কা যাবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ২০২৪ সালের নভেম্বরে। দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। পরের বছর অক্টোবরে ক্যারিবিয়ানদের স্বাগত জানাবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে। ২০২৬ সালের অক্টোবরে উইন্ডিজের সঙ্গে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।

এই চক্রে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দুই দফায় খেলবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট খেলবে তারা। দুই বছর পর ২০২৬ সালের নভেম্বরে আফ্রিকানদের মাটিতে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে।

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আরও তিনবার দেখা হবে বাংলাদেশের। ২০২৪ সালের এপ্রিলে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি। পরের বছর মার্চে আবারও হোম সিরিজ, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে দুটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলতে জিম্বাবুয়ে যাবে বাংলাদেশ।

ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) পরবর্তী পাঁচ বছরের চক্রে আইসিসির ১২টি পূর্ণ সদস্য তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৭৭৭টি ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে ১৭৩ টেস্ট, ২৮১ ওয়ানডে ও ৩২৩টি টি-টোয়েন্টি।