স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং আমাদের গৌরবোজ্জল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, গণহত্যা ও শোষণের তিক্ত অভিজ্ঞতা সবসময়েই আমাদেরকে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। বর্তমান বৈশ্বিক জটিলতায় মানুষের দুর্দশা বাড়ছে। এসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের বিপসট মিলনায়তনে ‘ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব পিসকিপিং ট্রেনিং সেন্টার (আইএপিটিসি)’ এর ২৬তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলণ এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বিশ্বব্যাপী নানা ধরণের আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও আভ্যন্তরীন দ্বন্দের তীব্রতা ও জটিলতা নজির বিহীন রূপ ধারণ করেছে। এসব দ্বন্দের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বেড়েছে এবং বিশ্বব্যাপী শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বাড়ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা অপারেশনের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সংস্থার ৫দিন ব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সামরিক উপদেষ্টা, জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ উপদেষ্টা,বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশে নিয়োজিত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংসদীয় প্রতিনিধি, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও অনুষদবৃন্দ, আইএপিটিসি এর সদস্যভুক্ত অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় দুইশ’ জন বিদেশী প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিগণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজকরা জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা পরিবেশ অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠছে। এই পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির গতি প্রকৃতি মূল্যায়ন ও তা মোকাবেলায় ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারন এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের রূপরেখা প্রণয়ন আইএপিটিসি’র মূল উদ্দেশ্য। আইএপিটিসি শান্তিরক্ষী অপারেশন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সঙ্গে জড়িত নীতি নির্ধারক, গবেষক, শান্তিরক্ষী, প্রশিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম। কানাডার পিয়ারসন পিসকিপিং সেন্টারে ১৯৯৫ সালের ২ জুলাই এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ৯০টি বিভিন্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাণ, সংস্থার আইএপিটিসি’তে অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমানে আইএপিটিসি’তে ২৬৭টি সদস্য প্রতিষ্ঠাণ রয়েছে।