গাজীপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং শ্বাসরোধে এক নারী পোশাককর্মীকে খুন করেছে তার স্বামী। নিহতের লাশ ঘরে রেখে তার স্বামী পালিয়েছে। রবিবার পুলিশ নিহতের লাশ তার তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের নাম- নাজমা খাতুন (৩৫) তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর জালালপুর গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম ওমর ফারুক (৩৬)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার তেলিনা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।

নিহতের বাবা মাহমুদ আলী জানান, গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন করমতলা এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় তালটিয়া এলাকার ম্যাক্স কম্পোজিট কারখানায় চাকরি করতেন নাজমা খাতুন (৩৫)। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় দুই বছর আগে একই কারখানার কর্মী ওমর ফারুককে (৩৬) ভালবেসে বিয়ে করে এক সন্তানের জননী নাজমা। বিয়ের পর থেকেই নানা অযুহাতে নাজমার কাছে টাকা দাবী করে আসছিল ফারুক। ইতোমধ্যে তাকে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা দেওয়া হয়। সম্প্রতি আরো টাকার দাবী জানায় সে। এজন্য নাজমাকে নানাভাবে নির্যাতনও করা হয়।

তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে মেয়ের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য নাজমার বাসায় গেলে সে ঘুমাচ্ছে বলে ফারুক আমাকে কৌশলে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এসময় ফারুক জানায় নাজমা ঘুম থেকে জাগলে তারা নারায়নগঞ্জে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাবে। এরপর দুপুরে পুনঃরায় বাসায় গিয়ে রুম তালাবদ্ধ দেখে ফেরত চলে আসি। সন্ধ্যায় মোবাইলে কল দেওয়া হলে বারবার ফোন কেটে দেয় ফারুক। রবিবার সকালে আবারো ওই বাড়িতে গেলে প্রতিবেশীরা জানালায় উঁকি দিয়ে ঘরের বিছানায় নাজমার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে।

জিএমপি’র পূবাইল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, শুক্রবার রাতে নাজমাকে হত্যা করে ঘরে তালা লাগিয়ে শনিবার সকালে পালিয়ে গেছে তার স্বামী। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।