নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় এক গৃহবধুকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষন ও ধর্ষনে ভিডিও ধারন করে ভাইরাল করার দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিবার ধর্ষনের অভিযোগে ওই নারী দুইজনকে আসামীকে করে মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার(৩১ মে) সকালে জলঢাকা থানায় এই মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মামলার প্রধান আসামী সবুজ ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার কৃত আসামী উপজেলার মীরগঞ্জ পূর্ব শিমূরবাড়ী দলানের পাড় গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে। অপর আসামী একই গ্রামের মুকুল ইসলাম পলাতক বলে জানায় পুলিশ।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব শিমুলবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ছাব্বিশ বছরের ওই নারীর সাথে মীরগঞ্জ পূর্ব শিমূরবাড়ী দলানের পাড় গ্রামের এমদাদুল ইসলামের বিয়ে হয়। ঘর সংসার চলাকালিক সবুজ ইসলাম ওই নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষন করে। ধর্ষনের সময় ধর্ষক গোপনে তা মোবাইলে ধারন করে রাখে। এরপর ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছে ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ও পুনরায় একাধিকবার ধর্ষন করে। এরমাঝে ধর্ষনের ভিডিও ওই নারীর স্বামীকে দেখিয়ে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটনা। বাধ্য হয়ে ওই নারী বাবার বাড়িতে অবস্থা নিয়ে চাকুরি খোঁজে ঢাকা চলে যায়। ঢাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আয়ার কাজ নেয়। এরপর ওই নারী ২৮ মে (রবিবার) ঢাকা থেকে বাবার বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ মে) উক্ত দুই আসামী সন্ধ্যায় ওই নারীর বাবার বাড়ি গিয়ে পূর্বের ধর্ষনের ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার পুনরায় ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে মীরগঞ্জ দিয়াবাড়ী রোড ক্যালেনের বাঁশ এবং গাছের ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে দ্বিতীয় আসামীর সহযোগীতায় প্রধান আসামী সবুজ জোড়পূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর ওই নারীকে মোটরসাইকেলে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রঙ্গের বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই নারী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে তাকে মোটরসাইল থেকে ফেলে দিয়ে দুই আসামী পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ছুটে এসে ঘটনার জানার পর পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই নারীকে রাতেই উদ্ধার করে থানায় নেয় ও মামলা দায়ের করে।

জলঢাকা থানার চলমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বিশ্বদেব রায় জানান, বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামীকে মিরগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। মামলার অপর আসামীতে গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছে।

 

সুজন মহিনুল,ক্রাইম রিপোর্টার।।