পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ধনী দেশগুলো চীনের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না। ভৌগলিক অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশও বিদেশিদের কাছে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। এ কারণে বৈশ্বিক হেলাখেলার মধ্যে পড়ে গেছি আমরা।

আজ শুক্রবার (১১ আগষ্ট) সকালে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদে মিলনায়তনে এলজিইডি বাস্তবায়িত এ উপজেলায় ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, একটি দল ও তাদের প্রবাসী সহযোগিরা বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিদেশে অর্থপাচার আওয়ামী লীগ চায় না উল্লেখ করে তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী আরো বলেন, অনেকে বছরের পর বছর বিদেশে আয়েশ করছেন। এছাড়াও পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী প্রকল্প উদ্বোধন কালে বলেন, সরকারে আওয়ামী লীগ আছে বলেই দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। দেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তার গতি ঠিক রাখতে বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।

তিনি বলেন, সিলেট সদর উপজেলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৮৯ কোটি টাকার তিন শাতাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। চলমান রয়েছে। তিনি প্রকৌশলীর উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই আল্লাহর ওয়াস্তে শেষ করেন এসব প্রকল্প। এটা সময়ের দাবি। একেকটা প্রকল্প শেষ করতে এত সময় লাগে! তিনি বাদাঘাট- বাইপাসের মাত্র ১২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ করতে ১৩ বছর লাগিয়ে দেয়ার উদাহরণ টেনে কিছুটা উষ্মাও প্রকাশ করেন।

অবশ্য কোভিড উত্তর পরিস্থিতিতে কনস্ট্রাকশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরদের উদ্দেশ্যে বলেন, জিনিসপত্রের দাম কেবল অভাবের কারণেই বাড়েনা। বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণেও বাড়ে। তাই কোন জমি যাতে পতিত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটা মরিচের গাছ লাগালে পরিবারের মরিচের চাহিদা মেটানো যায়। এসব ব্যাপারে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোন রাস্তার কাজ না হলে আমার স্থানীয় অফিসে কর্মকর্তারা আছেন, তাদের জানালে আমরা সেটি কেন হলো না খোঁজ-খবর নিবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব সুন্দর একটা নির্বাচন হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমুহের নেতৃবৃন্দ, জন প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরবৃন্দ।