ডেঙ্গু ও বিএনপিকে দেশের প্রধান দুই শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আজকে ডেঙ্গু থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। ডেঙ্গুর মতো ভয়ঙ্কর বিএনপি থেকে সাবধান থাকতে হবে। আজকে দেশের প্রধান দুই শত্রু, এক শত্রু বিএনপি আরেক শত্রু ডেঙ্গু। আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে এই শত্রুর প্রতিরোধ করি। মানুষের জীবন ডেঙ্গুর হাতে নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদ বিএনপির হাতে নিরাপদ নয়। ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়ঙ্কর বিএনপিকে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু কর্মসূচি পালন করে না। মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে আমাদের এগিয়ে আসতে হয়। আমাদের বাঁচতে হলে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শুধু রাজনীতি করলে হবে না। মানুষকে বাঁচানোর রাজনীতি সবার আগে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এ সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ‘৭৫-এ আমরা ক্ষমতা হারিয়েছি, তখন তো ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়নি। নির্বাচনের ব্যাপারে ভারত বা কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাবে, ক্ষমতাচ্যুত করবে; যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, তাদের এমন মন্তব্য করা অশোভন।

তিনি বলেন, যারা ভারতের হস্তক্ষেপ বলেন তাহলে একাত্তর সালে কী হয়েছিল? ভারত আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল, তাদের সৈন্যরা রক্ত দিয়েছে, আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, সেটা কি অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নয়?

আওয়ামী লীগ নয় বরং বিএনপিই ক্ষমতায় বসার জন্য বিদেশীদের দিকে তাকিয়ে আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ- এমন কোনো মন্তব্য ভারত থেকে পাইনি। আমাদের ক্ষমতায় বসাবে জনগণ, বরং বিএনপি তাকিয়ে আছে বিদেশীদের দিকে।

এ সময়ে ওবায়দুল কাদের ডেঙ্গু বিরোধী এ কর্মসূচিকে দেশব্যাপী জোরদার করতে স্থানীয় প্রশাসন, কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা কর্মসূচি অনুষ্ঠানে ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।