ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। সাকিব-তামিমরা যা পারেননি, তাই করে দেখাল আহরার আমিন, আশিকুর শিবলিরা। জিতে নিলো এশিয়া কাপ শিরোপা। প্রথমবারের মতো দখল করল এশিয়ার ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা।

রোববার দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৮২ রান করে বাংলাদেশ। শতক হাঁকান আশিকুর রহমান শিবলি, খেলেন ১২৯ রানের ইনিংস। জবাবে ২৪.৫ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। ১৯৫ রানের বিশাল জয় পায় টাইগাররা।

এর আগে, ছোটদের হাত ধরে বাংলাদেশ পেয়েছিল বিশ্বজয়ের স্বাদ, সেই ছোটদের হাত ধরেই ঘুচালো অপেক্ষা, দূর হলো অপূর্ণতা। যদিও শিরোপা এলো বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জিসান আলমকে হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৭ রানে ওমিদ রেহমানের বলে বিদায় নেন তিনি। জিসানকে হারালেও তিনে নামা রিজওয়ানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আশিকুর রহমান শিবলি। এরপর ১২৫ রানের এক জুটি গড়ে তুলেন দু’জনে। ৭১ বলে ৬০ রান করে রিজওয়ান আউট হলে ভাঙে জুটি।

তাতে অবশ্য রানের গতি কমেনি, তৃতীয় উইকেট জুটিতে আরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়েন শিবলি। ১২৯ বলে শতক তুলে নেন তিনি। ফিফটি তুলে নেন আরিফুল। তবে বিদায় নেন এর পরপরই। ৪০ বলে ৫০ রানে আউট হন তিনি। এরপর বলার মতো সংগ্রহ কেবল অধিনায়ক মাহফুজুর রাব্বির। ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি।

শেষ দিকে ব্যাটাররা ঠিক মতো সঙ্গ দিতে না পারায় তিন শ’ পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ২৮২ রানেই থামে ইনিংস। শেষ ওভারে এসে শিবলি আউট হন ১৪৯ বলে ১২৯ রানে।

তবে জয়ের জন্য এই লক্ষ্যই অনেক বেশি ছিল, তার প্রমাণ দেন বোলাররা। শুরুটা করেন ভারতের বিপক্ষে জয়ের নায়ক মারুফ মৃধা। আরিয়ানশ শর্মাকে (৯) শেখ পারভেজ জীবনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরানোর পর অপর ওপেনার আকশাত রায়কে (১১) বোল্ড করেন তিনি।

এরপর আলো কেড়ে নেন পেসার রোহানাত দৌলা বর্ষণ। একে একে ফেরান তানিশ সুরি (৬), ইথান ডি’সুজা (৪) ও প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক আয়ান আফজাল খানকে (১২ বলে ৫)। ৪৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আরব আমিরাত।

বাকি কাজের শুরুটা করেন ইমন ও জীবন। পরের চার উইকেট দখলে নেন তিনি। যাদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেনি। ৮৭ রানে অলআউট হয় আরব আমিরাত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ধ্রুব।