খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে শেখ মো: সাদেকুর রহমান রানা ওরফে বিহারী রানা (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পলাশ নামে আরেক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের আহছানউল্লাহ কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

রানা নগরীর ফেরিঘাট এলাকার বিহারী কলোনির শেখ মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি জেল থেকে জামিনে বেরিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের আহসানউল্লাহ কলেজ গেটের সামনে দুর্বৃত্তরা রানাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রানা কলেজ গেটের সামনে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পলাশ নামে আরেক যুবক গুলিতে আহত হন।

খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়লাপোতাস্থ আহসানউল্লাহ কলেজের সামনে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন আহত দু’জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শেখ সাদেকুর রহমান রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত যুবকের পেটে বাম সাইডে ও গলার নিচে এবং বাম কানের নিচে মোট ৩টি গুলি লেগেছে। এ ঘটনায় নগরীর শের ই বাংলা রোডের মহারাজের ছেলে পলাশ পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রাশিদা বেগম বলেন, কারা এবং কেনো গুলি চালিয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহত পলাশ শেরে বাংলা রোডের শেখ মোতালেবের ছেলে। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।