শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে চারজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

রোববার সকাল ১০টার দিকে শ্রম অ্যাপিলিয়েট ট্রাইব্যুনালে নিজে উপস্থিত হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস। এরপর শুনানিতে বিচারক ড. ইউনূসসহ চারজনকে স্থায়ী জামিন দেন বলে জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রায়ে সাজা হলেও জেলে যেতে হয়নি ইউনূসসহ চারজনকে। আপিলের শর্তে তাঁদের একমাসের জামিন দিয়েছিলেন বিচারক।

১ জানুয়ারি রায়ে জামিনের শর্তে বলা হয়েছিল, ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন আদালত। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি।

মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও আসামি করা হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে।