পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক মাড়মী দীঘির পাড়ে বসবাসরত পাহাড়ী ক্ষুদ্র-নৃ-তাত্ত্বিক কাথলিক খ্রীষ্টান জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা হিসাবে সাবমার্সিবল বসানোর জন্য বিশেষ অনুদান প্রদান করেছেন। বড় একটা দীঘির পাড়ে বসবাস করা সত্বেও চৈত্র মাসে তাদের অবর্ণনীয় পানির অভাব দেখা দেয়। পাবনা জেলায় কর্মরত বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহযোগী সংগঠন আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস) দীর্ঘদিন যাবত ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করছে এবং অত্যন্ত সুনামের সাথে করছেন, শিশু শিক্ষা, সেলাই প্রশিক্ষণ, উন্নত চুলা বসানো, গাভী পালন কর্মসূচীর মাধ্যমে ১২তম পর্যায় সমাপ্ত করেছে। ক্ষুদ্র-নৃ-তাত্ত্বিক কাথলিক খ্রীষ্টান জনগোষ্ঠীর পানির কষ্টের কথা চিন্তা করে আসাস বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের কাছে বিশেষ অনুদানের মাধ্যমে সাবমাসিবুল প্রকল্প বসানোর প্রস্তাব করে। ফলে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন বিশেষ অনুদানের প্রকল্পটি অনুমোদন দেন। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দারিদ্র বিমোচনে ও মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আসাসের মত প্রায় বার শত প্রতিষ্ঠান সারা বাংলাদেশে ফাউন্ডেশনের সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্য মোঃ রেজাউল আহসান (সাবেক সচিব) এবং জুনিয়র নির্বাহী অফিসার (পিও টু এমডি) মোহাম্মদ মাজেদুল হক ইতিমধ্যে সার্বমাসিবুল বসানো প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পাবনায় কর্মরত ফাউন্ডেশনের সহযোগী সংস্থা প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে (পাবনা প্রতিশ্রুতির প্রধান কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে) আদিবাসীদের প্রকল্প সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়া হয়ে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা হওয়ায় আদিবাসীরা বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন ও আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস) এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।