‘বাংলাদেশের চিরশত্রু ভারতকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে’ উল্লেখ করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান এবার সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীসহ ছাত্র-যুবক, নারী-পুরুষদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান বারবার আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত কখনো বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বেনিয়ার মতো আচরণ এবং পাকিস্তানের চেয়ে বেশি শোষণ করে চলেছে। তবে ভারতকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়! লাখো শহিদদের রক্ত ও মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। সুতরাং বাংলাদেশ নিয়ে ভারত কোনো ধৃষ্টতা দেখালে জনগণ উপযুক্ত জবাব দিবে।’

শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত ‘পরাধীন বাংলার দিনাজপুরে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস ও শফিউল আলম প্রধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ প্রধান এসব কথা বলেন।

তিনি শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘শফিউল আলম প্রধান ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ দিনাজপুরে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন। দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন। অথচ আজকে লাখো শহিদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ ভারতীয় আগ্রাসনের খাঁচায় বন্দি। তবে আশার কথা এই যে, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আজকের বাংলাদেশ শফিউল আলম প্রধানের নীতির পথে হাঁটতে শুরু করেছে। কথাবার্তা পরিষ্কার, চিরশত্রু ভারতকে আমাদের প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। অন্যথায় ভারতীয় আগ্রাসন আমাদের তিলে তিলে ভাতে ও পানিতে মারার চেষ্টা করবে। দেশবাসী হুঁশিয়ার থাকবেন।’

রাশেদ প্রধান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক দেশের অর্থনীতি একদিকে লুটপাট হচ্ছে অন্যদিকে ১০০ বিলিয়নের বিদেশি ঋণের রেকর্ড দেশের জনগণের ওপর চেপে বসেছে। দেশের সর্বনাশ করে আওয়ামী লীগের সংসদীয় নৃত্য আজ দেশকে পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। একই সঙ্গে এই ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের রাজনীতির সঠিক গতিপথ জিম্মি করে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমে সরকার দেশকে ভারতীয় করদরাজ্যে পরিণত করেছে।’

যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, সদস্য মনোয়ার হোসেন, সাজু মিয়া, দিদার হোসেন, যুব জাগপার সহসভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, মো. আলী ফকির, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা নেতা বিপুল সরকার, জনি নন্দী, পাবেল হোসেন, আসাদুজ্জামান নুর, মো. হাসান প্রমুখ।