জিম্মি থাকা ইসরায়েলি-আমেরিকান তরুণ হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস যোদ্ধারা যাঁদের ধরে এনেছিলেন, তাঁদের একজন গোল্ডবার্গ-পোলিন। ওই দিন গুরুতর আহত হওয়ার পর তিনি যে বেঁচে আছেন, তার প্রথম প্রমাণ হিসেবে বুধবার প্রকাশিত এই ভিডিও এসেছে।

সে সময় ২৩ বছর বয়সী গোল্ডবার্গ-পোলিনকে নোভা সংগীত উৎসব থেকে ধরে এনেছিলেন হামাস যোদ্ধারা। ওই দিন ইসরায়েলে ঢুকে ১ হাজার ২০০–এর বেশি মানুষকে হত্যা এবং দুই শতাধিক মানুষকে ধরে এনে জিম্মি করেছিল হামাস।

৭ অক্টোবর ধারণ করা একটি ভিডিওতে গোল্ডবার্গ-পোলিনকে জিম্মি করতে দেখা গিয়েছিল। তাতে দেখা যায়, এই তরুণের এক হাতে গুরুতর জখম। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক তরুণী বলেছিলেন, হামাসের হামলার সময় গোল্ডবার্গ-পোলিনের সঙ্গে তিনি একটি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই বাংকার থেকে গ্রেনেড বাইরে ছুড়ে ফেলতে সাহায্য করেছিলেন গোল্ডবার্গ-পোলিন। একপর্যায়ে তাঁর এক হাতের কনুই থেকে নিচের অংশ উড়ে যায়।

বুধবার প্রকাশিত ভিডিওতে গোল্ডবার্গ-পোলিনকে একটি চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে। ভিডিওতে তিনি নিজের পরিচয় এবং জন্মতারিখ ও মা–বাবার নাম বলেছেন। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে গোল্ডবার্গ-পোলিন বলেন, তিনি এখানে প্রায় ২০০ দিন ধরে আছেন। তার অর্থ দাঁড়ায়, ভিডিওটি মঙ্গলবারের আগে ধারণ করা হয়েছে। কারণ, মঙ্গলবারই এই যুদ্ধের ২০০ দিন পূর্ণ হয়েছে।

ভিডিওতে গোল্ডবার্গ-পোলিনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করতে শোনা গেছে। যেমনটি এর আগে প্রকাশিত জিম্মি ইসরায়েলের নাগরিকদের ভিডিওতে দেখা গেছে।

নিজের পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন গোল্ডবার্গ-পোলিন। ভিডিও শেষ হয়েছে তাঁর একটি আশাবাদের মধ্য দিয়ে; তা হলো ছুটির এই সময়ে তিনি কিছুটা হলেও পরিবারকে স্বস্তি দিতে পারছেন।