ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে নিখোঁজের ৯ দিন পর আজ বুধবার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিন রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, এমপির সম্পূর্ণ মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দেহের মূল অংশ ট্রলিতে করে পাচার করা হয়েছে। তবে দেহাবশেষ উদ্ধার করা গেছে। এ ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ভারতে গিয়ে আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত–সংশ্লিষ্ট একটি পুলিশ সূত্র জানায়,এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে পুলিশ বাংলাদেশে আটক করেছে। আটক হওয়া ওই দুই ব্যক্তি সম্প্রতি কলকাতা থেকে ফিরেছেন। আটক হওয়া দুজনের মধ্যে একজনের নাম আমানুল্লাহ।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের একটি দল কেরানীগঞ্জ থেকে শুরুতে আমানুল্লাহ নামের একজনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যগুলো ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে জানালে তারা জানায় যে আনোয়ারুল আজিম খুন হয়েছেন।’

 

জানা গেছে, মোট ৬ জন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। এমপিকে হত্যার পর ৫ জন দেশে ফিরে আসেন এবং একজন এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন। তবে বাংলাদেশে ফিরে আসা ৫ জনের মধ্যে একজন অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। আর ভারতে অবস্থান করা ব্যক্তিকে আটক করতে চেষ্টা করছে ভারতের পুলিশ।

মূলত নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারাই জানান মরদেহ আছে সঞ্জিভা গার্ডেনে। সে খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশকে। পরে বুধবার এই মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের পুলিশ।

জানা গেছে, যে ফ্ল্যাট থেকে আনোয়ারুল আজিম আনারের খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার মালিকও একজন বাংলাদেশি। তিনি ভারতে গিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ওই ফ্ল্যাট কিনেছেন। কলকাতার পুলিশ তাকেও খুঁজছে বলে জানানো হয়েছে।