1দৈনিক বার্তা : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা সত্ত্বেও আবারো বেড়েছে ব্যাংকগুলোর ঋণ ও আমানতের মধ্যকার সুদহারের ব্যবধানও ( ¯েপ্রড)। চলতি বছরের মার্চ শেষে গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। যা ফেব্র“য়ারির তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাত প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।এর আগে ফেব্র“য়ারিতে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে গড় ¯েপ্রড ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ছিল ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্চ শেষে তফসিলভূক্ত ৫৬টি ব্যাংকের গড় ¯েপ্রড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ সময়ে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে গড়ে আমানত সংগ্রহ করেছে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ হারে। অন্যদিকে ঋণ দিয়েছে ১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ সুদ হারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকের ¯েপ্রড ৫ শতাংশের নিচে রাখার নির্দেশনা থাকলেও ২৩টি ব্যাংকের ¯েপ্রড বেশি রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে বিশেষায়িত খাতের বেসিক ব্যাংক, বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, পূবালি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, যমুনা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক। বিদেশি মালিকানার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ওরি ব্যাংক ও এইচএসবিসি ব্যাংক।

দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণের সুদ আদায় করছে বিশেষায়িত খাতের বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটি ঋণের সুদহার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।দ্বিতীয়তে রয়েছে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটি ঋণের সুদহার ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। তাদের¯েপ্রড ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্চে রাষ্ট্রীয় মালিকানার চার ব্যাংকের ঋণে গড় সুদ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আমানতে রয়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এতে তাদের স্পেডের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশে। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো গড়ে ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে। আমানতে সুদ দিয়েছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। এতে তাদের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ¯েপ্রড রয়েছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর বিদেশি ব্যাংকের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে।

জানা গেছে, ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের মধ্যকার সুদহারের ব্যবধান কমাতে ২০১২ সালের প্রথম দিকে ¯েপ্রড ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনা কার্যকরের গত দুই বছরের মধ্যে শুধু বিদায়ী বছরের এপ্রিল, মে আর নভেম্বর মাস ছাড়া কখনও গড় স্প্রেড আইনি সীমার মধ্যে ছিল না। মূলত আমানতে সুদহার কমলেও ঋণে না কমার কারণে এটি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই ¯েপ্রডের হার নির্ধারিত মাত্রায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের জোরাল ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, গত জানুয়ারি থেকেই ঋণ আমানত অনুপাত বেশি থাকা ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে প্রতিমাসে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।