গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শিশু ভাতিজাকে গলা টিপে হত্যা করেছে তার চাচা
দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১৫ সেপ্টেম্বর: গাজীপুরের কাপাসিয়ার জয়কে স্কুলে আর ভর্তি করা হলো না৷ তার আগেই জমি সংক্রানত্ম বিরোধের জের ধরে সোমবার আপন ভাতিজাকে তার পাষন্ড চাচা ও সহযোগীরা গলা টিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ নিহতের নাম তরিকুল ইসলাম জয় (৪)৷ সে কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আইবুর রহমান মোলস্নার ছেলে৷ জয়কে গ্রামের বাড়িতে স্বামী পরিত্যাক্তা ফুফুর (জয়ের) কাছে রেখে তার বাবা ও মাতা রাজধানী ঢাকায় চাকরী করে৷ সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ঘুমনত্ম জয়কে ঘরে রেখে তার ফুফু ঝরনা আক্তার পূর্নিমা বাড়ির পাশে তাল কুড়াতে যায়৷ তাল কুড়ানো শেষে ফিরে এসে জয়কে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে৷ এক পর্যায়ে জয়ের লাশ বাড়ির পাশর্্ববর্তী ফজলুল হক মোলস্নার জমির পানিতে দেখতে পায়৷ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েনিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক জয়কে মৃত ঘোষণা করেন৷ নিহতের গলায়, কপালে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ এছাড়াও তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল৷ পুলিশ ময়না তদনত্মের জন্য লাশ গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে৷
নিহতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে আপন ছোট ভাই আয়েছ আলী ও চাচতো ভাইদের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছে৷ এর জের ধরে তারা বিভিন্ন সময় তাকে নানা ধরণের হুমকি দিতো৷ তারাই জয়কে হত্যা করেছে বলে তার ধারণা৷ আয়েছ আলী ইতোপূর্বে জয়কে হত্যার চেষ্টা করেছিল৷ আগামী জানুয়ারি মাসে জয়কে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করার কথা ছিল৷ কিন্তু সে আশা পূরণের আগেই খুনীরা জয়কে হত্যা করে লাশ জমির পানিতে ফেলে দেয়৷
কাপাসিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাজমুল হুদা জানান, জয়ের স্বজনা লাশ থানায় নিয়ে আসে৷ তার গলায় কালো দাগ রয়েছে৷ লাশ ময়নাতদনত্মের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদনত্মের রিপের্াাট পাওয়া গেলে মৃতু্যর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে৷
