1418719935

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এখনো মরিয়া হয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি৷ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন৷ দেশী-বিদেশী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রসত্ম করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা বলেন, দেশী-বিদেশী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রসত্ম করতে চায়৷ কিন্তু বাংলার মানুষ বিজয় দিবসে শপথ নিয়েছে, ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে৷ তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না৷

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন না করে, পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে না পেরে নানাধরনের ষড়যন্ত্র করছেন৷ কিন্তু বাংলার মানুষ এই ষড়যন্ত্র রম্নখবে৷ অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হবে৷
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে জনতার ঢল নেমেছিল রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে৷স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এখানে জনাতার ঢল নামে৷

সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কমর্ী ও সমর্থকরা মিছিল করে ৩২ নম্বর সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের মোড়ে জমায়েত হতে থাকে৷ সকাল সাড়ে ৮ টার মধ্যেই সর্বসত্মরের মানুষের ভিড়ে গোটা এলাকা কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে যায়৷ সমবেত জনতার ছিল একই দাবী, স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের স্থান নেই৷ কেউ এসেছে মাথায় বিজয় দিবসের ব্যান্ড বেঁধে, কেউ এসেছে লাল-সবুজ পোষাক পরে জাতীয় পতাকা হাতে৷ তাদের সবার মুখে উচচারিত হচিছল জামায়াত শিবির রাজাকার -এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়৷ মুজিবের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই৷

হাজার হাজার যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং শিশু-কিশোরসহ সর্বসত্মরের নারী-পুরম্নষ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের জন্য তাদের নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে৷সকাল ৮ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করেন৷ এ সময় তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন৷

পরে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করেন৷এ সময়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবন ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থানটি উন্মক্ত করে দেওয়া হয়৷

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে৷এছাড়াও আওয়ামী যুবলীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী স্বেচছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচছাসেবক লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, ছাত্রলীগ উত্তর ও দক্ষিণের নেতা ও কমর্ীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করেন৷

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন ছাড়াও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, সচিবালয় কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ তাঁতী লীগ, বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগ, জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, তেঁজগা কলেজ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, আওয়ামী ওলামা লীগ, শেখ রাসেল শিশুসংঘ, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু হারবাল চিকিত্‍সক পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় যুব শ্রমিক লীগ, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ড কেন্দ্রীয় কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রভৃতি সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায়৷ সকাল ১০টার মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুলে-ফুলে ভরে যায়৷