image_154994.menon_-300x200

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে পর্যটন শিল্প সর্বোচ্চ বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারি তৈরি পোশাকখাতকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে৷ তিনি দেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিদ্যমান দুর্বলতা ও সংকটসমূহ চিহ্নিত করে পর্যটনখাতকে বিশ্বমানে উন্নীত করার মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি বেগবান করার লক্ষ্যে চলমান কর্মসূচি বাসত্মবায়নে সংশিস্নষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ৷

মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড আয়োজিত পর্যটনখাতের উন্নয়ন বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান৷অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরুপ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারম্নজ্জামান খান কবির বক্তৃতা করেন৷

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাসত্মবায়ন এবং দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পর্যটন সহায়ক মানসিকতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ খাতকে এক নম্বর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারি খাত হিসেবে তৈরি করা সম্ভব৷ তিনি বলেন মাত্র এক দশক আগেও মালয়েশিয়া অনেক পিছিয়ে ছিল৷ পর্যটনখাত আজ মালয়েশিয়ায় অন্যতম বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারি খাতে পরিণত হয়েছে৷ তিনি বলেন, মালয়েশিয়া পারলে আমরা কেন পারব না ?

তিনি বলেন, গতানুগতিক উপায়ে পর্যটনখাতকে শক্তিশালী শিল্প হিসেবে দাঁড় করানো সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প পর্যটন সংশ্লিষ্টদের হাতে রাখাই বাঞ্চনীয়৷ তিনি পর্যটনখাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে পর্যটন কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন৷

মন্ত্রী দেশের পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, নদী মাতৃক বাংলাদেশে নৌ-পর্যটন হিসেবে গড়ে তোলা ও বিশ্বের সর্ববৃহত্‍ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনকে কিভাবে আমরা পর্যটনের জন্য কাজে লাগাতে পারি তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে ৷