Obaidul-Kader

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি: বিএনপি জোটের অবরোধ ও হরতালে পরিবহন খাতে ক্ষতিগ্রস্তরা সাড়ে ছয় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হেনে ফুগল এএসকেয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ডেনিস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন৷

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে সাড়ে ছয় কোটি টাকা দেওয়া হবে, তালিকা পেয়ে অলরেডি বরাদ্দ করা হয়েছে, তাদের কাছে এই টাকা খুব শিগগিরই পৌঁছে যাবে৷ তিনি বলেন, অবরোধের মধ্যে এই পর্যন্ত ১২শ’র মতো গাড়ি ভাংচুর ও পোড়ানো হয়েছে৷ এর মধ্যে বিআরটিসিরও কয়েকটি বাস রয়েছে৷ এছাড়া অবরোধ-হরতালে নাশকতায় এপর্যন্ত ৪০ জন গাড়িচালক ও চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন৷

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃতদেহ বাংলাদেশে আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গিয়েছিলেন৷ শেখ হাসিনা দরজা বন্ধ করেননি৷ ওইদিন খালেদা জিয়া দরজা খুললেই সংলাপের দরজা খুলে যেতে পারতো৷ এখন সংলাপের দরজা বন্ধ৷ সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে যতটুকু জানি সংলাপের বিষয়ে কোনো সম্ভাবনা নেই৷

কূটনৈতিক ও নাগরিক সমাজের উদ্যোগ এবং তত্‍পরতা সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারবিরোধী অবস্থানে থাকলে আমরা এ ধরনের কথা বলতাম৷হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও- পোড়াও নাশকতা করা উচিত্‍ নয়৷ এই অবস্থা আর চলতে পারে না৷ আত্মবিনাসী আগুন সারাদেশে দাউ দাউ করে জ্বলছে৷ হয়তো আলোক ঝিলিক বেড় হয়ে আসবে৷ বললেন ওবায়দুল কাদের৷

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে৷ এখন যে অবস্থা তৈরি হয়েছে সেখানে সংলাপের দরজা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে৷ তবে সংলাপের মাধ্যমেই বন্ধ দরজা খুলে যেতে পারতো বলেও মন্ত্রী মন্তব্য করেন৷

বাংলাদেশ সফররত ডেনিস ব্যবসায়ীরা এসেছেন, পিপিপির (প্রাইভেট পাটনারশপি প্রজেক্ট) মাধ্যমে তিনটি প্রজেক্টে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে৷ তারা ব্যবসায়ীক মনোভাব প্রকাশ করেছে বলেও মন্ত্রী জানান৷ এর আগে ডেনিস রাষ্ট্রদূত হ্যানে ফুগল এসকেয়ার এর নেতৃত্বে বাংলাদেশে সফররত ডেনিস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের৷

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন৷ এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর, সোনাদিয়া ও পায়রা বন্দর উন্নয়ন নিয়ে৷ সেখানে সড়ক সংযোগ উন্নয়নে কিভাবে অংশ নিতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷