nbr-1420708832

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ মার্চ:অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চলমান পরিস্থিতিকে দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুতর বাধা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কের কারনে বিদেশী বায়াররা আসছেন না।সোমবারদুপুরে সচিবালয়েদেশেরতৈরীপোশাকসহবিভিন্ন রফতানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, চলমান পরিস্থিতি এক ধরনের জাতীয় সংকট। তবে জাতীয় সংকট বলতে আমার ভয় করে। কারণ এটা অতটা বিরাট নয়। তবে দেশের উন্নয়নের জন্য এটা একটা বড় বাধা।তিনি বলেন, বিদেশেও হরতাল অবরোধ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এজন্য বিদেশী বায়াররা দেশে আসতে চায় না।তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সময় একটা বড় বিষয়। প্রায় টানা দুই মাস ধরে এটি চলছে। এর শেষ কোথায় তার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে এই সংকট কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।ব্যবসায়ীরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাত করে ২১দফা দাবি উত্থাপন করেন।রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর নেতাদের পক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম চলমান হরতাল-অবরোধে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।এসময় অর্থমন্ত্রী বিষয়গুলো ভেবে দেখার আশ্বাস দেন।

চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২১টি দাবির মধ্যে রয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়কালে নতুন করে কোনো রপ্তানি ঋণ শ্রেণিবিন্যাস না করা, এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিন মাসের পরিবর্তে ছয় মাসের মধ্যে ঋণ শ্রেণিবিন্যাস করা, পোশাকসহ সব রপ্তানিকারককে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ করার সুযোগদেওয়া,রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুনঃতফসিলীকৃত ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখা, পাঁচ বছরের প্রকল্প ঋণ তিন বছর বাড়িয়ে আট বছরের কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া, ৫০০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিলের যে সুযোগ জানুয়ারিতে দেওয়া হয়েছে, তা সব রপ্তানিকারকের জন্য প্রযোজ্য করা ইত্যাদি।দেশের রপ্তানিকারকেরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে ২১টি দাবি উত্থাপন করেন। জবাবে চিন্তিত অর্থমন্ত্রী বিষয়গুলো ভেবে দেখার কথা বলেছেন।

রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর নেতারা সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় রপ্তানিকারকদের পক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম চলমান হরতাল-অবরোধে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতসহ সব রপ্তানি খাতে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ শীর্ষক এই আয়োজনে ২১টি দাবি তুলে ধরা হয়।

এসব দাবি শুনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিদ্যমান অবস্থায় আপনারা সাফার করছেন। তবে রাজনৈতিক এই পরিস্থিতির ইমপ্যাক্ট দুই মাসে ততটা হয়নি। দেখছি কী করা যায়। যে পরিস্থিতি চলছে, আমি খুব চিন্তিত; কত দিন চলবে। এটার একটা শেষ থাকতে হবে। কিন্তু কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এটা বিএনপির ডিউটি, তাদের কোনো ইন্ডিকেশন নেই। দলটি সংসদেও নেই। সংসদে থাকলে একটা ফোরাম থাকে। এটা একটি জাতীয় সমস্যা। আবার জাতীয় সমস্যা বলতেও ভয় করি।ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আমি চিন্তায় আছি। আমি বসব আপনাদের সঙ্গে। ব্যবস্থা একটা নেব। কালকে নেব বা পরশু নেব। তবে নেব।