দৈনিকবার্তা_DoinikBarta_1428049375

দৈনিকবার্তা-নারায়ণগঞ্জ, ৩ এপ্রিল: বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এক দিন আগের এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে নয়জনে দাঁড়িয়েছ। আরও অন্তত চারজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের স্বজনরা দাবি করেছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আবারও উদ্ধার কাজ শুরু করলে ওই বৃদ্ধার লাশ পাওয়া যায় বলে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. মোমতাজ উদ্দিন জানান।নিহত জমিলা খাতুন (৬৫) রাজধানীর লালবাগ শহীদনগর এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী।বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুরের মতলব থেকে ৭০/৮০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ট্রলারটি বেলা পৌনে ১টার দিকে কেরাণীগঞ্জের আলীগঞ্জের পানগাঁওয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে সাথীবুল বাহার-২’ নামে একটি বালুবাহী বাল্কহেড এর ধাক্কায় ডুবে যায়।আশপাশের লোকজনের সহায়তায় অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকেন।

দুর্ঘটনার পরপরই নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলের উদ্ধারকর্মীরা নদী থেকে আরও সাতজনের লাশ উদ্ধার করেন।ঘটনাস্থলটি কেরানীগঞ্জে হলেও ট্রলারডুবির ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ড এ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আরও চারজনের নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছেন স্বজনরা।এরা হলেন- ঢাকার লালবাগ এলাকার রাজকুমারের ছেলে রাসেল (১৯), মানিক মিয়ার ছেলে মো. কাজল (২৫), ওয়াহাব আলীর ছেলে সামাদ (২৫) ও কোরবান আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০)।

আগের দিন যাদের লাশ পাওয়া গেছে তারাও সবাই ঢাকার লালবাগ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জামালউদ্দিন বলেন, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে শুনেছি। তাদের খোঁজে নদীতে উদ্ধার অভিযান চলছে।