1_132703_132869

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ এপ্রিল: রাজধানীর বাংলামোটরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দু’টি মামলা দায়ের করেছে ছাত্রলীগ ও বিএনপি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দু’টি রেকর্ড করা হয়।রমনা থানার মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম বাদী হয়ে ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।অন্যদিকে ছাত্রলীগের পক্ষে বাবু হাসান নামে এক ব্যক্তি অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরে সিটি নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে ছাত্রলীগের নেতারা। ছাত্রলীগের নেতাদের হামলার ছবি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে

রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।একই থানায় পাল্টা মামলা করেছেন শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক বাবু হাসান। অজ্ঞাতপরিচয় ৩০-৪০ জনকে আসামি করেছেন তিনি।দুই মামলাতেই হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান ওসি। ভোটের প্রচারে থাকা খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বুধবার বিকালে বাংলামোটর এলাকা পার হওয়ার সময় একদল যুবক লাঠি ও হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালায়।

হামলায় খালেদার গাড়ির কাচ ভেঙেছে, ভাংচুর হয়েছে বহরে থাকা তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফের গাড়িও। হামলাকারীরা বেধড়ক পিটিয়েছে সিএসএফ সদস্যসহ কয়েকজনকে।আওয়ামী লীগের পক্ষে করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার বিকাল ৫টায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী সাঈদ খোকনের নির্বাচনী লিফলেট বিলির সময় তার কর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা দেয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি।এতে লিটনসহ অন্যরা পড়ে গিয়ে আহত হন। এর প্রতিবাদ করলে গাড়িতে থাকা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হুকুমে ওই গাড়িতে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা শটগান ও লাঠিসোটা দিয়ে তাদের আঘাত করে।

এছাড়া সাঈদ খোকনের লিফলেট কেড়ে নিয়ে কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।এজাহারে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় আহত লিটন শেখ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।অন্যদিকে বিএনপির পক্ষে করা মামলায় বলা হয়, চেয়ারপারসনের গাড়ি বাংলামোটর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ৪০-৫০ জনের একটি দল বহরে হামলা করে।ওসি জানান, এতে গাড়ি ভাঙচুর ও চেয়ারপারসনের নিরাপত্তাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের কথা বলা হয়েছে।গত সোমবারও কারওয়ান বাজারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে বিএনপি প্রধানের গাড়িবহর।ওই সময় খালেদা জিয়া অক্ষত থাকলেও তার গাড়ির কাচ ফেটে যায়। আহত হন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। হামলার প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়া সারা দেশে হরতাল করে বিএনপি।কারওয়ানবাজারের ঘটনাতেও পাল্টাপাল্টি মামলা করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ।