1430552240

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২ মে: সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর বিএনপি পরবর্তী কর্মকৌশল শিগগিরই ঠিক করবে বলে জানিয়েছেন দলের নীতি-নির্ধারকদের অন্যতম আ স ম হান্নান শাহ। নির্বাচনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাইনি কেন অনেকে প্রশ্ন করেছেন।আমরা নীরব প্রতিবাদ করেছি।আমরা মনে করি,এটা ঠিক করেছি বলেছেন তিনি।এই নির্বাচন বাতিল না করলে জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে সমুচিৎ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দেন তিনি।সরকারবিরোধী আন্দোলন শিথিল করে সিটি নির্বাচনে আসা বিএনপিভোট জালিয়াতির অভিযোগ করলেও কোনো কর্মসূচি দেয়নি।শনিবার শ্রমিক দলের নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ সাংবাদিকদের বলেন, দলের পরবর্তী কর্মকৌশল নির্ধারণে শিগগিই নীতি-নির্ধারণী বৈঠক হবে।কবে নাগাদ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি আসবে- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলাম। আমরা কখনোই সময়, দিক ও শক্তির কথা প্রকাশ করি না। আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির কথা বলছেন, অপেক্ষা করতে হবে।

গত মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণের মাঝ পথে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তিন সিটিতে হেরেছে দলটি সমর্থিত প্রার্থীরা।সিটি নির্বাচন নতুন করে আয়োজনের দাবি জানিয়ে হান্নান শাহ বলেন, ২৮ এপ্রিল কারচুপি ও প্রহসন থেকে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে, সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে কী ঘটিয়েছিল। এই সিটি নির্বাচনে সরকারের কালো মুখ উন্মোচিত হয়েছে।গত তিন মাসে নাশকতার অভিযোগ দায়ের করা বিভিন্ন মামলার বিচার শুরুর উদ্যোগের সমালোচনাও করেন বিএনপি নেতা।শ্রমিক দলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সহযোগী সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার হোসাইনসহ নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান হান্নান শাহ। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন২৮ এপ্রিলের সিটি নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি, জালভোট, কেন্দ্র দখল ও প্রহসনের অভিযোগ করে এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান হান্নান শাহ।হান্নাহ শাহ বলেন, নির্বাচনের পর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। কারণ বিএনপি গণতান্ত্রিক ও শান্তির দল। আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না। আমরা গণতান্ত্রিক পথেই থাকবো। সরকার উস্কানি দিলেও ওই ফাঁদে পা দেবে না ২০ দল।

তিনি বলেন,২৮ এপ্রিল যে নির্বাচন হয়েছে তা ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মতো নীল নকশার নির্বাচন। সে সময়ে কেউ কেউ বলেছে বিএনপি নির্বাচনে গেলে জয়লাভ করতো। এবার মিডিয়ার কল্যাণে দেশে-বিদেশে সবাই দেখেছে, এ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, সিটি নির্বাচনে শতভাগ কারচুপির পরও নির্বাচন কমিশন বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তাহলে জনগণ ক্ষেপে গিয়ে গণধোলাই দিলেও নির্বাচন কমিশন বলবে এটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের মানুষের হৃদয়ে আছে উল্লেখ করে হান্নান শাহ বলেন, কয়েকদিন আগে জিয়াউর রহমানের মাজারে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর করেছে। তারা ভেবেছে মাজার ভাঙচুর করে জিয়ার নাম মুছে দেবে। কিন্তু এদেশের প্রত্যেক মানুষের মনে জিয়াউর রহমানের নাম লেখা রয়েছে।

বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারি সরকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ সরকারের লোকেরা ভোট ডাকাতি করে, কিন্তু কোনো বিচার হয় না। অথচ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছে। যারা বাইরে রয়েছেন তারা কাজ করতে পারছেন না। সরকার তাদের নামে চার্জশিট দিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের মতো প্রসহনের বিচার করতে চায়।এ সরকারের কাছ থেকে জনগণ মুক্তি চায়। সরকারের সব বৈআইনি কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে ফুটে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।