BB_Gobarnor__2__925727165

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫: দুধের চাহিদা পূরণে খামারিদের মাত্র ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২শ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় ১২টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ঋণ বিতরণের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক এবং সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্র্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেন,দেশে দুধের মোট চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদন হয়। বাকি ৮০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকার ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামারিদের ২শ কোটি টাকার তহবিলের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, সৃজনশীল এ প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন হলে দেশ দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং মানুষের পুস্টির চাহিদাও পূরণ হবে।এই ঋণ বিতরণ করতে প্রকৃত ও নারী খামারিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দেন গর্ভনর। তিনি বলেন, এতে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

আতিউর রহমান বলেন, সম্ভাবনাময় এ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে পরবর্তীতে বাজেট আরও বাড়ানো হবে। টেকসই অর্থায়নের অংশ হিসেবে উৎপাদনশীল খাতে টাকা দিচ্ছে সরকার। অর্ন্তভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য উন্নয়নমুখী কর্মতৎপরতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। সভাপতির বক্তব্যে ডেপুটি গর্ভনর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর আমাদের চার হাজার কোটি টাকার দুধ আমদানি করতে হয়।প্রকৃত খামারিদের এই ঋণ দেওয়া হলে দুধের সংকট ক্রমেই কমে আসবে। আমদানি নির্ভরতাও কমবে। এজন্য কৃত্রিম প্রজনন ও গাভী পালনকারীদের অগ্রাদিকার ভিত্তিতে এ ঋণ দিতে হবে। প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বক্তব্য রাখেন, সোনালী, জনতা, রূপালী, আনসার ভিডিপি, আইএফআইসি ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। গাভী পালন, গাভী ক্রয় ও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে শংকর জাতের গাভী পালনের জন্য বিদ্যমান ঋণ সুবিধার পাশাপাশি এ খাতে অধিকতর ঋণ প্রবাহ নিশ্চিত করতে পাঁচবছর মেয়াদী (নবায়ন-আবর্তন যোগ্য) ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো।এই ঋণের সুদ ১০ শতাংশ। সরকার বিতরণকারী ব্যাংকগুলোকে ৫ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে নেওয়া হবে ৫ শতাংশ। একজন গ্রাহক ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। অগ্রাধিকার পাবে প্রান্তিক ও নারী খামারিরা। চলতি মাস থেকেই শুরু হবে এ ঋণ বিতরণ।