image_118094_0

দৈনিকবার্তা-ময়মনসিংহ, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫: আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া বিচার বিভাগের পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির শহীদ আমিনুল হক ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালের আগে পুরাতন জিআর. ননজিআর, প্রিয়াংশন প্রসেডিং মামলাগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায়, এজন্য আমি বিচারকদের নির্দেশ দিয়ে যাবো। পাশাপাশি এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আইনজীবীদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বড় বড় জেলাগুলোর আদালতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ডিজিটালাইজেশন চালু করা হবে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি কোর্টে ডিজিটালাইজেশন চালু করে দিয়েছি। আমার জেলা সিলেটে ইতোমধ্যে ডিজিটালাইজেশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ঈদের পর পরই সেখানে ডিজিটালাইজেশন হবে।

তিনি বলেন, আদালতে যে স্বাক্ষী দেবে সেটি আর বিচারকদের রেকর্ড করতে হবে না। জেরা করবেন, মনিটরে ভেসে উঠবে। ঢাকা ও সিলেটে ত্রুটিহীনভাবে ডিজিটালাইজেশন চালু হয়ে গেলে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বড় বড় জেলাগুলোতে চালু করা হবে। প্রধান বিচারপতি প্রত্যেক বিচারককে নিজ হাতে কম্পিউটার দিচ্ছেন উলে¬খ করে বলেন, রায় হবার সঙ্গে সঙ্গে যেন ডুপি¬কেট সার্টিফায়েড কপি পাওয়া যায়, সেজন্য আমি জুডিশিয়াল কনফারেন্সে নির্দেশনা দিয়ে যাবো। ময়মনসিংহের বিচারালয়ে যেসব সমস্যা আছে তা দেশের অন্যান্য বিচারালয়ের তুলনায় কম এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি নিজে বেশ কিছু আদালতে গিয়ে কিছু পুরাতন মামলা দেখেছি। এ মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিস্পত্তি হয়ে যায়, তার নির্দেশনা দিয়ে যাবো, যাতে করে জনগণের কষ্ট না হয়।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বেল পিটিশন, ইনজাংশন পিটিশনগুলো আগে সকালে শুনানি করা হতো। বিকেলে আর এ বেল পিটিশনগুলোর শুনানি করতেন না। আমি নিজে কোর্ট থেকে নামার পর বিভিন্ন স্টেশনে সেশনস জজদের আড়াইটার সময় ফোন করেছি। কেউ বাসায় চলে গেছেন, কেউ কোর্টে উঠেন না। তাদেরকে বাধ্য করার জন্য বিকেলে বেল পিটিশন করতে বলেছি। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ.এফ.এম.নজমুল হুদা, সাবেক সংসদ সদস্য এম. জুবেদ আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান, কবির উদ্দিন ভূইয়া, জিপি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।