ওবায়দুল-কাদের

দৈনিকবার্তা-নারায়ণগঞ্জ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫: এবারের ঈদের আগে মহাসড়কের পাশে পশুর হাট ৯০ভাগ নিয়ন্ত্রন করা গলেও রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিদের কারনে শতভাগ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যদি আইন না মানে তাহলে সাধারন মানুষ কিভাবে আইন মানবে। তিনি বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।ঢাকার প্রবেশ মুখে যানজটের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে উলে¬খ করে সেতু মন্ত্রী বলেন, আবদুল¬াপুরে গরুর হাটের জন্য যানজট হচ্ছে। তিনদিন যাবত টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তারপরেও হাইওয়ে পুলিশ, র‌্যাব এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় কাজ করছে অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেও আমরা চেষ্টা করছি রাস্তা সচল রাখার জন্য।

মহাসড়কে রাস্তার নি¤œমানের কাজের জন্য ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের সততা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, সবাই ভালো হলে দেশের সব দিক থেকে গুণগত মান বাড়বে। তিনি বলেন, এবারের ঈদে আমাদের টার্গেট স্বস্তিদায়ক যাত্রা একেবারেই নিশ্চিত করব। জনগণের কষ্ট এবং দুর্ভোগ কতোটা কমানো যায় আমরা সে চেষ্টা করছি। তবে আগামী ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশ্বমানের হবে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। পরে মন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে যানজটের অবস্থা দেখেন।মন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় প্রকৌশলী আফতাবউদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বুধবার দুপুরে পবিত্র ঈদু-উল-আযহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সম্পর্কে জানার জন্য সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে যান। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,‘সিটি করপোরেশনের ভেতরের রাস্তাগুলো আমার দায়িত্বে না, মেয়রের। নবনির্বাচিত মেয়রকে আমি বলেছি, কিন্তু মেয়র আর্থিক সঙ্কটের কথা বলেছেন।ঈদের সময় যানজটে ঘরমুখী মানুষের অসহনীয় দুর্ভোগের জন্য রাজধানীর প্রবেশপথগুলোকেই দুষলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ঈদযাত্রায় মানুষের দুর্ভোগটা আরো সহনীয় করা যেত। কিন্তু তা করা যায়নি প্রবেশপথ ভাল না হওয়ার কারণে।পরিবহণে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা লিখেন, মন্ত্রী দাবি করেছেন কোথাও বাড়তি ভাড়া আদায় হচ্ছে না। এখানে আমার দাবি করার কী আছে? আপনাদের সামনেই আমি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেনি। নির্দিষ্ট করে আমাকে কেউ বললে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।