Jhenaidah Photo 20.10.15

দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহে, ২০ অক্টোবর ২০১৫: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফরাসপুরে মা ও মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। মঙ্গলবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তারা মারা যায়। নিহতরা হলো-ফরাসপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫) এবং মেয়ে তাসমিয়া (১৮ মাস)। নজরুল ইসলামের বড় মেয়ে ঊর্মি খাতুন জানান, যৌতুকের দাবিতে দীর্ঘদিন তার পিতা নজরুল ইসলামের সাথে স্বামী কযশোর সদর উপজেলার লেবুতলা আগ্রাইল গ্রামের বাবুল শেখের ছেলে কামাল শেখের মধ্যে (৩০) দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈদের পরে সে তার পিতার বাড়িতে চলে আসে। এরপর পরিবারের সদস্যরা যৌতুক দিয়ে তাকে জামাই এর বাড়িতে পাঠাতে অস্বীকার করে।

এর জের ধরে জামাই কামাল শেখ ক্ষীপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ভোর রাতে শ্বশুর বাড়ীতে গোপনে প্রবেশ করে ঘরের খোলা জানালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঘরের মধ্যে থাকা শ্বশুর নজরুল ইসলাম চাঁন মিয়া, শ্বাশুড়ী তাসলিমা বেগম, শ্যালিকা তাসমিয়া ও স্ত্রী ঊর্মি খাতুন অগ্নিদগ্ধ হয়। এদের মধ্যে মারাতœকভাবে অগ্নিদগ্ধ তাসলিমা বেগম ও তাসমিয়াকে রাতেই ঢাকায় নেওয়ার পথে তারা মারা যায়। অপর দু’জন অগ্নিদগ্ধে সামান্য আহত হয়। স্বজনরা আরো অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে কামাল শেখসহ ৩/৪ একটি প্রাইভেটে এসে মস্তবাপুর স্কুল সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। সেখান থেকে কামাল সঙ্গীসহ এসে ঘরের দক্ষিন পাশের খোলা জানালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ঊর্মি খাতুন ও তার স্বামী কামাল শেখের সাথে বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জের ধরে কামাল তার দলবল নিয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে। এ বিষয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।