রিংটনে জাতীয় সংগীত ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৫ নভেম্বর ২০১৫: জাতীয় সংগীতকে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহারকে অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি’র আবেদন নিস্পত্তি করে বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়। ফলে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীত আর ব্যবহার করা যাবে না বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী জানায়। একইসঙ্গে জাতীয় সংগীতকে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহার করায় রবি কর্তৃপক্ষকে ৩০ লাখ টাকা মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালকে দিতে রায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কালিপদ মৃধা নামের এক ব্যক্তি ২০০৬ সালে হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট মোবাইলে রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীতের ব্যবহার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে রায় দেয়।একইসঙ্গে রবি,গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার কথা বলেও, আদালতে তারা না যাওয়ায় প্রত্যেক কোম্পানিকে ৫০ লাখ টাকা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিতে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ। গত ১১ মে তাদের আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। পাশাপাশি গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক কর্তৃপক্ষকে ৫০ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা কমিয়ে দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে অনুদান হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়। আজ রবি’র আবেদনও নিস্পত্তি করে রায় দেয় আপিল বিভাগ।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন ব্যারিস্টার মাসুদ আহমেদ সাঈদ। রিটে বলা হয়, জাতীয় সংগীত রুলস ১৯৭৮ এ বলা আছে জাতীয় সংগীত আমাদের দেশের সম্পদ, এটি কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির সম্পদ নহে। কিন্তু মোবাইল অপারেটর কোম্পানী গ্রামীণ ফোন, বাংলালিং, একটেল পরবর্তিতে (রবি) টেলিটক, সিটিসেল এই অপারেটর গুলো রিংটোন হিসেবে ব্যাবহার করে গ্রাহকদের নিকট থেকে আর্থিক লাভবান হচ্ছে।এটি জাতীয় সংগীত রুলস ১৯৭৮এর স্পষ্ট লংঘন।এছাড়াও গত ৯জুলাই,২০১৫ হাইকোর্ট এক আদেশে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে হিন্দি গানের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।