01পয়লা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি পিবিআইকে ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ আদেশ দেন। এই দিন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত আদেশের দিন ধার্য ছিল। নারী ও শিশু ট্রাইবুনালের ৩ এর পাবলিক প্রসিকিউটর মাহামুদা আক্তার চুড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করেন। তিনি নারাজি আবেদনে বলেন, মামলাটি খুব চাঞ্চল্যকর। তাই মামলাটি পুনরায় তদন্ত করা হোক। আদালত নারাজি আবদেন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল রাজধানীর টিএসসি এলাকায় নারীদের লাঞ্ছনার পর প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্তের পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা (মামলা নম্বর-২৫ (৪) ১৫) করা হয়। ২০১৫ সালের ৯ই ডিসেম্বর পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উৎসব উদযাপনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে যৌন নিপীড়নের মামলাটির আসামি খুঁজে না পাওয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস গত মঙ্গলবার মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ষবরণে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত ৮ যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮-১০ জন দুষ্কৃতকারী কতিপয় নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ আছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করলে তাহারা মামলার বিস্তারিত বিষয় শুনে মামলাটি অহেতুক মুলতবি না রেখে দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত ৮ জন নারী লাঞ্ছনাকারীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় এবং ঘটনার জড়িত কোনো আসামির সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় এবং তদন্তের সীমা নির্দিষ্ট হওয়ায় মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হলো। ১৫ এপ্রিল শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ যৌন হয়রানির ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন।