ঐতিহাসিক সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন সৌদি মন্ত্রিসভায়

তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে ঐতিহাসিক এক অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সৌদি মন্ত্রিসভা। রাজস্বের ৮০ শতাংশ তেল থেকে আসলেও সম্প্রতি তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় ব্যাপক বাজেট ঘাটতির মুখে পড়েছে তেল সম্পদে সমৃদ্ধ বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশটি। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যই নতুন এই সংস্কার পরিকল্পনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের পুত্র এবং ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ৩০ বছর বয়সী মোহাম্মদকে এই অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনার জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। সৌদি আরবের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি আরামকোর কিছু অংশকে বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে একটি সার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিল তৈরি করা তার পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তার সংস্কার পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০৩০ প্রসঙ্গে আল আরাবিয়া নিউজকে বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে আমরা তেল ছাড়াই চলতে পারবো।প্রিন্স মোহাম্মদের সংস্কার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সৌদি আরবের মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি আরামকোর শেয়ার ৫ শতাংশ বিক্রি করে একটি সার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিল গঠন করা।সব মিলিয়ে এই তহবিলের আকার দাঁড়াতে পারে ২ ট্রিলিয়ন ডলারে।বিদেশি মুসলিম এবং আরবরা যেন সৌদি আরবে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে চাকরি করতে পারেন সেজন্য একটি নতুন ভিসা পদ্ধতি চালুও এই সংস্কার পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে বলে জানা গেছে।পাশাপাশি তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিকে বহুমুখী করতে খনিজ উত্তোলন এবং সামরিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানির ওপর জোর দেয়া হয়েছে সংস্কার পরিকল্পনায়।তবে বর্তমানের সস্তা তেলের যুগে এই সংস্কার কর্মসূচি কতখানি বাস্তবসম্মত এই প্রশ্নের জবাবে যুবরাজ বলেন, তেলের দাম যাই হোক না কেন সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।সংস্কার বাস্তবায়নে বিলাস পণ্য আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন তিনি। তবে যুবরাজ আশ্বস্ত করেছেন এই সংস্কার কর্মসূচির আওতায় দেশের দরিদ্র নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।প্রিন্স মোহাম্মদ একই সঙ্গে সৌদি আরবের সিংহাসনের দ্বিতীয় উত্তরাধিকার এবং দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।