টাকা দিলেই সরকারি পাসপোর্ট, পরিচালক গ্রেপ্তারআগারগাঁও পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরামসহ দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পার্সপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলার আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর শেরে বাংলা নগর (ডিএমপি) থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি মামলা (নং ১৬) দায়ের পরই তাদের গ্রেপ্তার করে দুদক কর্মকর্তারা। মামলার বাদি উপপরিচালক ম. বেনজীর আহম্মদের নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত আরেক আসামি হলেন একই অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, প্রথমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার স্বাক্ষর জাল করে। এরপর ১৮ জন ব্যক্তির এনওসি সৃজনপূর্বক তা আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে দাখিল করে সাধারণ পাসপোর্টকে অফিসিয়াল পাসপোর্টে এ রূপান্তর করেন। সেই অবৈধ পাসপোর্টের মাধ্যমে পাসপোর্টধারীরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে অবৈধভাবে তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে গমন করে এবং পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হয়ে বাংলাদেশের ভার্বমূতি চরমভাবে নষ্ট করেছেন।

এনওসিসমূহ জাল ও ভূয়া জানা সত্ত্বেও তা যাচাই না করেনি পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরাম। অবৈধভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী না হওয়া সত্ত্বেও অফিসিয়াল পাসপোর্ট ইস্যু করেছেন। আর এভাবে ৬৬ ব্যক্তি সরকারি কর্মচারী না হওয়া সত্ত্বেও অফিসিয়াল পাসপোর্ট ইস্যু করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরামের ১টি ব্যাংক একাউন্টে গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ ৪ মাসে ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।