%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%81-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ওয়াসার পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর মামলায় ছয় আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।মঙ্গলবার ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান সব আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ঠিক করে দেন।আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউজের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব অ্যাসিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (নলকূপ পরিদর্শন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার আবু আহমেদ শাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক এবং সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।জামিনে থাকা এই আসামিরা সবাই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চার বছর বয়সী শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অভিযোগ গঠন হয়েছে। অর্থাৎ অবহেলাজনিত মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত হলেন এই আসামিরা। এই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের কারাদন্ড।রেল বিভাগ শাহজাহানপুরের ওই স্থানটিতে নলকূপ বসাতে পাইপ বসালেও পরে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে পাইপের মুখটি খোলাই রেখেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর খেলার সময় ওই পাইপের ভেতর পড়ে যায় শিশু জিহাদ। ২৩ ঘণ্টা পর মৃত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা মো. নাসির ফকির বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান চলতি বছরের ৩১ মার্চ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।এ মামলায় ২৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।এর ঠিক এক বছর আগে তিনজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু বাদী না-রাজি আবেদন দিলে আদালত পুনঃতদন্তের আদেশ দেয়।