%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a7%8e-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a7%8d

রামপালে বাস্তবায়নাধীন তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি শতভাগ পরিবেশবান্ধব। উপযুক্ত স্থানেই অত্যাধুনিক এই প্রকল্পটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিছু লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন।মঙ্গলবার বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি করেন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) প্রতিনিধিরা।সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন।বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাড. মীর শওকাত আলী বাদশা।

সভার আয়োজক বিআইএফপিসিএলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ইন্দ্রজিৎ বসাক, উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নরেন্দ্র লোধ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি খন্দকার আজিজুর রহমান, রামপাল প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএসের প্রতিনিধি প্রণব কুমার হালদার প্রমুখ।বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি খন্দকার আজিজুর রহমান বলেন, রামপাল প্রকল্প সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিনির্ভর অত্যাধুনিক প্রকল্প। এর দ্বারা সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকার মাটি, পানি, বায়ু ও প্রাণ-বৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি হবে না। এটি একটি শতভাগ পরিবেশবান্ধব প্রকল্প।

জাতীয় তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উনি ইঞ্জিনিয়ারও না, বিদ্যুৎকেন্দ্র দেখেনও নাই, চালানও নাই। উনি কিসের বিশেষজ্ঞ?অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি বলেন, ‘সরকার সব দিক গভীরভাবে বিবেচনা করেই রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যারা এ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন, তারা একদিন এজন্য জবাবদিহি করবেন।’সভায় জানানো হয়,বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ শুরু হবে।